ঈদের ধাক্কায় দেশে করোনায় আ’ক্রান্ত হতে পারে ২ লাখ !!
ঈদের ধাক্কায় করোনা সংক্রমণ কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, ঘরে ফেরার ঢল রুখতে হবে উৎসমুখেই, আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে ঈদের জামাতে। সেক্ষেত্রে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রয়োজনে কারফিউয়ের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পক্ষে মত তাদের।
এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে এই চাপ নিয়ন্ত্রণে ছক কষছেন তারা।সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়েছে ১১ মে। এরপর ক্রমে বেড়েই চলেছে শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা। গত পাঁচদিনে গড়ে প্রতিদিন শনাক্ত প্রায় তেরো’শ। এরই মধ্যে মহাসড়কে বাড়ছে ভিড়, বাড়ছে বাড়ি ফেরার চাপ।
এমন বাস্তবতায় আসছে দুই সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা জনস্বাস্থ্যবিদের মনে। তারা বলছেন, সামাল দিতে হবে ঘরমুখো মানুষের চাপ। আর নজর রাখতে হবে ঈদ কেন্দ্রিক সমাগমের দিকে নয়তো এই চাপে আক্রান্তের সংখ্যা হতে পারে কয়েক লাখ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বে-নজীর বলেন, এমনভাবে পরিকল্পনা করতে হবে যেন উৎস মুখেই মানুষদের যাতায়াত বন্ধ করা যায়। ন্যূনতম এক লাখ মানুষের জামাত হতে পারে, উপসর্গহীন রোগী আছে, তারা যদি থাকেও বোঝা যাবে না। এদের মাধ্যমে দুজন করে ছড়ালেও দুই লাখ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে।এই অবস্থায় আর ঢিলেমি নয়, কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন তারা।
অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বমুখী দেখা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশব্যাপী এটাকে যদি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তাহলে কঠোর লকডাউনে যেতে হবে। লকডাউন কঠোরভাবে না দিলে প্রয়োজনে কারফিউ দেয়া যেতে পারে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও বলছে, ঈদের ধাক্কা সামলে নিতে কঠোর সিদ্ধান্তের কথা ভাবছেন তারা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, সরকার যেখানে বলে দিয়েছে যে কর্মস্থলে সব চাকরিজীবী থাকতে হবে। সরকার তো বল প্রয়োগ করতে চায় না। তারপরও যদি মানুষ মানতে না চায় পদক্ষেপ তো নিতে হবে।পাশাপাশি টেস্টের পরিসর আরো বাড়ানোর কথাও ভাবছে সরকার।
সূত্র- বিডি২৪রিপোর্ট