একই পরিবারের ৫ সদস্য একসাথে ইসলামধর্ম গ্রহণ !!
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একটি হিন্দু পরিবার তাদের সনাতনধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। জানা গেছে, এই পরিবারের পাঁচজন সদস্য ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ মে) নোটারি পাবলিকের কার্যালয় চুয়াডাঙ্গা থেকে এফিডেভিটের মাধ্যমে সপরিবারে নাম ও ধর্ম পরিবর্তন করেন তাঁরা। এরপর জীবননগর সাব রেজিস্টার অফিসের মহুরি মাওলানা আব্দুল ওয়াজেদের কাছে পবিত্র কালেমা পাঠ করে ধর্মান্তরিত হন।
এসময় তাদের নাম পরিবর্তন করে নবমুসলিম দের জন্য দোয়া করা হয়। হিন্দু ধর্ম থেকে নিমাই দাসের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ইব্রাহিম খলিল। আরতি দাসীর পরিবর্তে তাঁর স্ত্রীর নাম রাখা হয়েছে আয়েশা খাতুন, আনন্দ দাসের পরিবর্তে বড় ছেলের নাম হাসান আলী, শ্রীমতী শিল্পী দাস থেকে মেয়ের নাম সুমাইয়া আক্তার ও এক বছর বয়সের ছোট ছেলেটির নাম রাখা হয়েছে হুসাইন আলী। এখন থেকে তাঁরা সপরিবারে মুসলমানদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পালন করবেন। এমনকি রোজা রাখার জন্যও তাঁরা মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তাঁরা নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
নওমুসলিম ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘ইসলাম ধর্মকে আমি অনেক আগে থেকে শ্রদ্ধা করি। ইসলাম ধর্ম আমাকে ভেতর থেকে টানে। এরপর থেকে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন ধরনের বই-পুস্তক পড়ে ও ধর্মের প্রতিপালন দেখে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে পৃথিবীতে ইসলাম ধর্ম একমাত্র সঠিক ধর্ম বুঝতে পেরে আমি সপরিবারে স্বেচ্ছায় হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম পালনের সিদ্ধান্ত নিই। আমার স্ত্রী-কন্যা দুজনেই পর্দা পছন্দ করে। সবার আন্তরিক সহযোগিতায় আল্লাহর রহমতে নিরাপদে এবং ভালো আছি।’ ইসলাম ধর্ম, নামাজ, রোজা সর্ম্পকে তাঁদেরকে জানানোর জন্য স্থানীয় মেম্বারসহ প্রতিবেশীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
জীবননগর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মহুরি মাওলানা আব্দুল ওয়াজেদ জানান, নওমুসলিম ইব্রাহিম খলিল ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক ভালো একজন মানুষ হিসেবেই পরিচিত। তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছার বিষয়ে স্থানীয় মুসলিম ও মেম্বারের নিকট জানালে সবাই তাঁকে সাহায্য করেন। বিষয়টি জানার পর যতটুকু সম্ভব তাঁদের পাশে থাকতে চেষ্টা করেছি। এফিডেভিটের পর তাঁরা স্থানীয় মেম্বার ও ব্যক্তিবর্গের সামনে সপরিবারে পবিত্র কালেমা তাইয়েবা ও কালেমা শাহাদত পাঠ করেন। আল্লাহ তাঁদের পরিবারকে কবুল করুক।
জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মেম্বার আরজান হোসেন জানান, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশের পর থেকে তিনি তাঁদেরকে সহযোগিতা করে আসছেন। প্রায় এক মাস পূর্বে তাঁর কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছার কথা জানান তাঁরা। এলাকার মানুষ তাঁদের নিরাপদ বসবাসের ব্যাপারে সচেতন। সবার সহযোগিতামূলক মনোভাব রয়েছে।