একমাসে ৭ বার কোন উপসর্গ ছাড়াই ধরা পড়ল করোনা !!
প্রতিনিয়ত রূপ পাল্টাচ্ছে করোনা’ভা’ইরাস। প্রা’ণঘা’তী এই ভা’ইরাসের কারণে শরীরে বেশ কিছু উপসর্গ ও লক্ষণ ধরা পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে উপসর্গ ছাড়াই শরীরে ধরা পড়ে করোনা। কিন্তু উপসর্গ ছাড়া একমাসে সাত বার করোনা ধরা পড়েছে ভারতের গুজরাটের এক শিক্ষার্থীর।
যার ফলে তাকে পুরো মাসজুড়ে হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের থাকতে হয়েছে। ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, চারদিকে মৃত্যুমিছিল দেখে ভয় চেপে বসেছিল মনে। বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে তড়িঘড়ি করে করোনা পরীক্ষা করাতে ছুটেছিলেন তিনি। সে প্রায় এক মাস আগের কথা। তারপর আর বাড়ি ফেরা হয়নি জয় পাটনির। এই এক মাসে উপসর্গহীন অবস্থায় সাত বার করোনা ধরা পড়েছে তার শরীরে।
জয় পাটনি গুজরাটের বডোদরার নগরওয়াড়ার বাসিন্দা। স্থানীয় এমএস কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। করোনা সংক্রমণে বডোদরায় যে কয়েকটি হটস্পট চিহ্নিত করেছে সরকার, তার মধ্যে তাদের নগরওয়াড়া এলাকাও রয়েছে। গত মাসে সেখানে এক শিশু মারা যায়। আর এতে কিছুটা ভয় পেয়ে যায় তার পুরো পরিবার। করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ তাদের।
পরে জানা যায়, ডেঙ্গুতে আ’ক্রান্ত হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আতঙ্কে করোনা পরীক্ষা করাতে যান জয় এবং তার বাবা-মা। তাদের তিনজনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। প্রথমে গোত্রী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে রাখা হয় তাদের। ১৩ দিনের মাথায় সেখান থেকে বাবা-মা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও, এখনও ছাড়া পাননি জয়।
হাঁচি, কাশি, মাথা ধরা, ক্লান্তি ভাব- এ ধরনের কোনও উপসর্গই নেই জয়ের শরীরে। কিন্তু গত ১২ এপ্রিল থেকে যতবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা হয়েছে, ততবারই তার শরীরে ভা’ইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। তাই হাসপাতাল আর কোয়রেন্টাইন কেন্দ্রেই দিন কাটছে তার। টানা ২০ দিন গোত্রী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। উপসর্গ নেই বলে সপ্তাহখানেক আগে বডোদরা রেল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয় তাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার উপসর্গ না থাকলে রোগীকে ছাড়ার আগে রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পিসিআর (আরটি-পিসিআর) টেস্ট করা হয়। এতে মরা ভা’ইরাসও ধরা পড়ে। হতে পারে সে কারণে বারবার জয়ের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত জয়কে সঠিক ভাবে কিছু জানাননি চিকিৎসকরা।