এবার সিএএ এর বি’রুদ্ধে, হিন্দু শিখ মুসলিম মিলে ‘ব্যতিক্রমী প্র’তি’বাদ’ !!
বি’ত’র্কি’ত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে এক মঞ্চে উঠলেন ভারতের হিন্দু, মুসলিম, শিখ ও খ্রিষ্টান নেতারা।রোববার পাঞ্জাব প্রদেশের মালেরকোটলায় সর্বদলীয় এক সভা থেকে বি’ত’র্কি’ত নাগরিকত্ব বিল প্রত্যাখ্যানের দাবি তুলেছেন তারা।
সিএএ বি’রো’ধী এ সমাবেশে কয়েক হাজার পাঞ্জাবী মুসলিম নারী বোরকা পরেই সংরুর জেলার মালেরেকোটলার সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন।এদিন ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে মুসলমান এবং শিখরা এক হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বি’রু’দ্ধে স্লোগান দেয়। বি’ত’র্কি’ত আইনটিকে ‘দেশের মুসলিম সম্প্রদায়কে টার্গেট করার সাম্প্রদায়িক এ’জে’ন্ডা’ বলে অভিহিত করেন তারা।
সমাবেশে বিখ্যাত আইনজীবী হর্ষ মন্দার বলেন, নাগরিকত্ব নিয়ে কেউ কোনো কাগজ দেখতে চাইলে আপনারা দেখাবেন না। কোনো কাগজপত্র না দেখানোর জন্য আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি।এসময় ‘হিন্দু, মুসলিম, শিখ, ঈসাই, আপস মে সব বেহেন ভাই’ বলে স্লোগান দেন তিনি।
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের সংরুর জেলা। এখানকার মালেরকোটলা একদিকে মুসলিম অধ্যুষিত একটি শহর, অন্যদিকে এ শহরের সমসন্স কলোনিতে মূলত সব হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর বাস।আবাসিক এলাকাটিতে কয়েক পরিবার শিখ সম্প্রদায়ের লোকজন থাকলেও একটিও মুসলিম পরিবার নেই।
তারপরও বছরের পর বছর ধরে শহরটির ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের পরিচায়ক হয়ে পাশাপাশি অবস্থান করছে আকসা মসজিদ এবং লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির।আকসা মসজিদের আঙিনায় থাকা বিশাল বেলপত্র গাছের পাতা লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের শিবলিঙ্গ সাজানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি আর প্রার্থনার গু’ঞ্জ’ন শেষ হওয়ার পরই শুনতে পাওয়া যায় মসজিদ থেকে আসা আজানের সুর।