করোনাঃ পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছে পোশাক শ্রমিকরা !!

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মহাসড়কে যানবাহন না থাকায় দিশেহারা হয়ে পায়ে হেটে বাড়ির পথে ফিরে যাচ্ছেন শিল্প কারখানার শ্রমিকরা। দেশে করোনা ভা’ইরাসের বিস্তার রোধ করতে গত ২৬ মার্চ থেকে চলছে সাধারণ ছুটি। এরই মধ্যে বন্ধ করা হয়েছে বাস-ট্রেন-লঞ্চসহ সব ধরনের গণপরিবহন। এছাড়া বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারের নির্দেশিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ পুনরায় বাড়ানো হলেও, পোশাক কারখানাগুলো খোলার নির্ধারিত তারিখ ছিল গত শনিবার (৫ এপ্রিল)।

এদিকে সারাদেশে লকডাউন পরিস্থিতিতে সড়কে চলাচল বন্ধ ছিল গণপরিবহন। তারপরেও হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক পেটের দায়ে চরম দুর্ভোগ মোকাবিলা করে ফিরেছেন নিজ নিজ কর্মস্থলে। কিন্তু শনিবার রাতে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সিদ্ধান্ত নেয় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার। তবে শ্রমিকরা এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জেনেছেন কর্মস্থলে আসার পর। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে এ নিয়ে দেখা গেছে তীব্র হতাশা।

সরকারের নির্দেশনায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ায় আবার ফিরে যেতে হচ্ছে শ্রমিকদের। আর তাই টলমল চোখে মহাসড়কের পাশে অপেক্ষায় হাজারও ঘরমুখি শ্রমিক। ফাঁকা সড়কে কোনো গাড়ি দেখলেই দৌড়ে যায় গাড়ির পেছনে। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে পায়ে হেটে ফিরছে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছে শ্রমিকরা। রাহেলা বেগম নামের এক পোশাক শ্রমিক জানান, ৫ এপ্রিল গার্মেন্টস খোলার কথা আছিল। তাই চাকরি বাঁচাইতে অনেক কষ্ট করে আসছি। কিন্তু এসে দেখি আবার ছুটি বাড়াইছে। এখন এই কয়দিন থাকুম কনে আর খামু কী। বাড়ি ফিরা যামু। কিন্তু কোনো গাড়ি নাই।

আশরাফ নামের এক শ্রমিক জানান তিন ঘণ্টার রাস্তা এক দিন ধরে এসেছি। এখন দেখছি অফিস আবার বন্ধ দিয়েছে। এখন আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকে বিকাল হতে চলল। তাই উপায় না পেয়ে হেটে ফিরছি। এদিকে হাইওয়ে পুলিশের কড়া নজরদারিতে মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গণপরিবহন চলতে পারছেনা। মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যাত্রিবাহী গাড়ি আটকে দিচ্ছে পুলিশ। গোড়াই হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, সরকারের নির্দেশ আছে যে শুধু পণ্যবাহী যানবাহণ ছাড়া কোনো গণপরিবহণ যাতে সড়কে চলতে না পারে।

সূত্রঃবিডি২৪লাইভ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *