করোনা উপসর্গে মৃ’ত, ১১ ঘণ্টা পড়ে ছিল লা’শ, এরপর…
কুমিল্লার দেবিদ্বারে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির পাশে স্ত্রী সন্তান ছাড়া কেউ নেই। দাফনে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে না আসায় ১১ ঘণ্টা লা’শ পড়ে ছিল। পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার উদ্যোগে গোসল, জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়।রোববার ঘটনাটি ঘটেছে দেবিদ্বার উপজেলা বরকামতা ইউনিয়নের নবীয়াবাদ গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোর ৪টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান নবীয়াবাদ গ্রামের সাবেক কৃষি কর্মকর্তা শাহেদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে হেলাল ভূঁইয়া। তিনি গত কয়েক দিন যাবত জ্বর-ঠাণ্ডা ও কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পারিবার তার অসুস্থতার বিষয়টি গোপন রাখে।
তার মৃত্যুর সংবাদে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর কেউ এগিয়ে আসেনি। মৃত্যুর পর ১১ ঘণ্টা লা’শ নিয়ে বসে থাকেন স্ত্রী ও তিন অবুঝ সন্তান। খবর পেয়ে বিকাল ৩টায় কুমিল্লা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকারের উদ্যোগে লা’শের গোসল, জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়।
লিটন সরকার বলেন, ভোররাতে লোকটি মারা গেলে অসহায় স্ত্রী ও অবুঝ তিনটি সন্তান কান্নাকাটি করলেও এলাকাবাসী বা তার কোনো স্বজন এগিয়ে আসেনি। লা’শ দাফন তো দূরের কথা ওই অসহায় পরিবারটিকে সান্ত্বনা দিতেও তার বাড়ির আশে পাশে কেউ আসে নাই। আমি খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে লা’শের গোসল, জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহাম্মদ কবির জানান, হেলাল ভূঁইয়ার মৃত্যুর খবরটি পরিবারের লোকজন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেউ অবগত করেননি। মৃত্যুর পর তিন ঘণ্টার মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। যখন জেনেছি তখন নমুনা নেয়ার সময় ছিল না। তবে সোমবার তার পরিবারের সদস্যদের স্যাম্পল নেয়া ব্যবস্থা করা হবে।