‘কিমের মৃত্যু ডেকে আনবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ !!
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের মৃত্যু ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক সেনা কর্মকর্তা চুন ইন-বাম।মার্কিন মিলিটারি টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন অসুস্থ। চলতি মাসের শুরুতে তার হার্টে অস্ত্রোপচারের পর থেকে নিজ বাড়িতে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।কিমের অসুস্থতার খবর প্রকাশের পর থেকেই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে হোয়াইট হাউজ।
এর মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার স্পেশাল অপারেশনসের সাবেক এই প্রধান এমন মন্তব্য করলেন।চুন ইন-বাম বলেন, কিমের পর উত্তর কোরিয়াকে কেন্দ্র করে পরমাণুযুদ্ধ দেখা দিতে পারে।’সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার আশঙ্কা, কিম-পরবর্তী উত্তর কোরিয়ায় আমেরিকা ঢোকার চেষ্টা করবেই। শুধু তাই নয়, চীনও পিছিয়ে থাকবে না বলে মনে করেন তিনি। যার ফল হিসেবে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরিস্থিতি’র আশঙ্কা করেছেন তিনি।
তবে উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব খর্বের চেষ্টা মোটেই আমেরিকা ও চীন কারোর জন্যই সুখকর হবে না বলে সতর্ক করেছেন তিনি।এছাড়া কিম-পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যে বেশি ‘উৎসাহ’ দেখাচ্ছে, তাও স্বীকার করেন চুন ইন-বাম।। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার আশঙ্কা, ‘এর ফলে পরমাণু যুদ্ধ হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলীয় হায়াংসান কাউন্টিতে একটি হাসপাতালে কিমের অস্ত্রোপচার হয়েছে। সিউলভিত্তিক ডেইলি এনকে নামের যে ওয়েবসাইট এমন খবর দিয়েছে, সেটি উত্তর কোরিয়ার পক্ষত্যাগীরা চালাচ্ছে।খবরে বলা হয়, বর্তমানে মাউন্ট কুমগ্যাং রিসোর্টের একটি বাড়িতে ৩৬ বছর বয়সী এই রাষ্ট্রপ্রধান চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিবেদনে অজ্ঞাতনামা সূত্রের বরাত দেয়া হয়েছে।
এছাড়া এতে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য নেই এতে।আন্তঃসীমান্ত বিষয়াদি নিয়ে কাজ করা দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।আর মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে এ বিষয়ে সরাসরি অবগত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতের উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনও বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছে। অস্ত্রোপচারের পর মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কিম জং-উন।
তবে কিমের গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম যে খবর দিয়েছে, তা সঠিক নয় বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়েছে কিনা; তা নিয়ে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন তিনি।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য মিলেছে। হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি, ওই খবর অসত্য। পুরনো নথির ওপর ভিত্তি করে ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।এর আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।