চীনে গাড়ির বাজারেও ধস – বিক্রি কমেছে ৯২ শতাংশ !!
করোনাভাইরাস কাবু করে ফেলেছে চীনের অর্থনীতিকে। চীন দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীততেও। এদিকে দেশটির একটি শিল্প সংস্থা আজ শুক্রবার জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে চলতি মাসের প্রথম পাক্ষিকে দেশটির গাড়ির বাজারে অকল্পনীয় ধস দেখা দিয়েছে। এ সময়ে বিক্রি কমেছে ৯২ শতাংশ।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনে গাড়ি বিক্রির ডিলার দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার এড়াতে ক্রেতারা গাড়ি কেনার কথা আপাতত ভুলেই গেছেন। এদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে চীনজুড়ে গাড়ি বিক্রি ৯৬ শতাংশ কমে দিনে গড়ে ৮১১টি গাড়িতে পৌঁছায়।
দ্য চায়না প্যাসেঞ্জার কার অ্যাসোসিয়েশন (সিপিসিএ) বলেছে, তারা আশা করছে, আস্তে আস্তে আরও কিছু বিপণন কেন্দ্র (শোরুম) খুলতে শুরু করলে বিক্রি বাড়বে। সংস্থাটির মহাপরিচালক কুই দোংসু বলছেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বেশিরভাগ মানুষ তাদের ঘর থেকে বের না হওয়ার কারণে ডিলার দোকানগুলোতে ক্রেতা ছিল না বললেই চলে।’
ডিলাররা চলতি মাস থেকে ধীরে ধীরে তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে এবং দেশটির অটোমোবাইল শিল্পের শীর্ষ এই সংস্থাটি মনে করছে, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় পাক্ষিকে বিক্রির পরিমাণ বাড়বে। চীনা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিলি সম্প্রতি যোগাযোগবিহীন একটি গাড়ি বাজারে আনলেও করোনা আতঙ্কের কারণে আশানরুপ বিক্রি হয়নি তাদের।
জার্মানভিত্তিক পরিসংখ্যান সংস্থা ‘স্টাটিস্টা’র দেয়া হিসাব অনুযায়ী, গত বছর চীনে ২ কোটি ১০ লাখেরও বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে। তবে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়ানোর আগেই মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে দেশটিতে গাড়ি বিক্রির পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে। চীন হলো বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ির বাজার। তারপরই আছে যুক্তরাষ্ট্র।
অনেক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা চলতি সপ্তাহ থেকে চীনে তারা তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারবে। তবে যেসব এলাকায় কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে তারা এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে যে, পুরোদম কার্যক্রম শুরু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
এদিকে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বুধবারের ৩৯৪ এর তুলনায় গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ১ হাজার ১০১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চীনের মূল ভূখণ্ডে আক্রান্ত প্রায় ৭৫ হাজার। বৃহস্পতিবারের ১১৮ জন নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা সংখ্যা এখন ২ হাজার ২৩৯। অন্যান্য দেশে ১১।