জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৩০ শ্রমিককে রক্ষা করল বাংলাদেশ পুলিশ-কোস্টগার্ড !!
বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে অনেক দুর্নাম-বদনাম। কিন্তু তাদের যে অনেক ভালো কাজ করার নজীরও রয়েছে সেটাও অস্বীকার করা যায়না। আর রোববার (১০ নভেম্বর) এমনই এক নজীর স্থাপন করেছেন বরিশালের হিজলা থানা পুলিশ। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের মাঝেই উত্তাল নদীতে তারা ঝুঁকি নিয়ে রক্ষা করেছে ৩০ শ্রমিকের জীবন।
গতকাল রোববার (১০ নভেম্বর) বেলা ৩ টার দিকে ৯৯৯ এ রমজান নামে এক ব্যক্তি কল করেন। ভয়ার্ত কন্ঠে তিনি জানান, বরিশালের হিজলা থানাধীন মিয়ারচরের কাছে মেঘনা নদীর শাখা নদীতে খননকাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের ছয়টি পল্টুন নোঙর করা ছিল। ঘূর্ণিঝড়ে কারণে প্রবল বাতাসে সৃষ্ট ঢেউয়ের তোড়ে একটি পল্টুন নোঙর ছিঁড়ে আনুমানিক ২৫-৩০ শ্রমিকসহ নদীতে ভেসে গেছে। প্রবল ঘূর্ণি বাতাসের সঙ্গে প্রচণ্ড ঢেউয়ে শ্রমিকসহ পল্টুনটি দিকবিদিকে নদীতে ভাসছে। এরপর, তিনি ৯৯৯ এর কাছে বিপদগ্রস্ত শ্রমিকদের উদ্ধারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। ৯৯৯ তাৎক্ষণিক কলার রমজানকে হিজলা থানার ওসির সাথে কথা বলিয়ে দেন একই সঙ্গে ৯৯৯ এর পক্ষ থেকে বিষয়টি বরিশাল পুলিশ কন্ট্রোল রুম, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডকে জানানো হয় এবং উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
এমন সংবাদ পেয়ে দুর্যোপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হিজলা থানা পুলিশের একটি দল ও নৌ-পুলিশের একটি দল যৌথভাবে একটি বড় ইঞ্জিন চালিত নৌযান যোগে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে রওনা দেয়। ইতিমধ্যে কোষ্টগার্ডের একটি দলও শ্রমিকদের উদ্ধারে রওনা দেয়। উত্তাল নদীর বুকে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী অভিযানের পর পুলিশের উদ্ধারকারী যৌথদলটি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে ভাসমান পল্টুন থেকে ১৮ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে। এরপর কোষ্টগার্ড সেখানে পৌঁছে ১২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে। ফলে ৩০ জন শ্রমিকের জীবন রক্ষা পায়। এভাবেই নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৩০ জন শ্রমিকের জীবন রক্ষা করে নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন বাংলাদেশ পুলিশ ও কোস্টগার্ড।