জেনে নিন, লকডাউন এলাকায় যেসব নিয়ম মানতে হবে !!
দেশে জোনভিত্তিক লকডাউন চলছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে রেড জোন বিবেচিত এলাকাগুলো লকডাউন করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে লকডাউন করা হয়েছে।
*লকডাউন এলাকায় বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে। নিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে-
*পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় একটি মাত্র প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ (গ্রিন রোডে আইবিএ হোস্টেলের পাশে) খোলা থাকবে।
*লকডাউন চলাকালে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
*জনগণের চলাচল অত্যন্ত সীমিত রাখা হবে।
*লকডাউন এলাকায় বসবাসরতরা তাদের প্রয়োজনীয় নিত্যখাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারবেন। যা বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে। এটুআই ও ইক্যাব যৌথভাবে এটি পরিচালনা করবে। হোম ডেলিভারির জন্য ইতোমধ্যে একদল প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী তৈরি করা হয়েছে।
*যাদের অনলাইন সুবিধা নেই, নগদ অর্থে খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করতে চান তাদের জন্য দু-একটি শাকসবজি, মাছ, মাংসের ভ্যান, ভ্যানচালক ও পণ্যসামগ্রী সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করে ভেতরে প্রবেশ করানো হবে।
*লকডাউন চলাকালে পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় বসবাসরত লোকজন বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাইরের লোকজন ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
*পূর্ব রাজাবাজার এলাকার সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে লকডাউনের বিষয়ে থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
*লকডাউন যথাযথভাবে পালিত হওয়ার লক্ষ্যে ওই এলাকায় পুলিশের টহল থাকবে। এছাড়া মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হবে।
*গুরুতর রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারবে। এছাড়া জরুরি সেবা যেমন-বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা লকডাউন এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন।
*ডিএনসিসির বিশেষ পরিচ্ছন্নতা টিম সেখানে কাজ করবে। তবে ব্যবহৃত সুরক্ষাসামগ্রী বা মেডিকেল বর্জ্য যেমন-মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদি আলাদাভাবে প্যাকেট করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাছে দিতে হবে। মেডিকেল বর্জ্য কোনোভাবেই অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গে মেশানো যাবে না।