পাগলীর কোলে আসলো ফুটফুটে শিশু – বাবাকে খোঁজ করছে পুলিশ !!
পাগলীর কোলে ফুটফুটে শিশু কার অপরাধের ফল সেই প্রশ্নের উত্তর মিলছেনা। ভবঘুরে এক পাগলির কে এমন অনৈতিক সম্পর্ক তৈরী করেছে তাকেই এখন খুঁজছে তাহিরপুর থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারের বাদামপট্রিতে ফুটফুটে একটি মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ট হয়েছে এক পাগলীর। তিন বছর পূর্বে আরেকটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলো এই পাগলি।
জানা যায়, এই পাগলিনী মা তিন বছরের ব্যবধানে পর পর দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখালেও সেই সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। এনিয়ে যেন কারও মাথা ব্যাথা নেই। বাবা ছাড়া সন্তান হতে পারে না কেউ না কেউ তার সাথে অনৈতিক সর্ম্পকে জড়িয়েছে। যার ফলে এই সন্তান। আর কে করেছে এমন কাজ এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে তুলপার শুরু হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি পাগলিনীর শিশু কন্যার পিতৃ পরিচয় খুঁজে বের করতে থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেন।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে বাদাম পট্টিতে র্দীঘ দিন ধরে ভবগুরে ভাবে বাজারে অবস্থান করে আসছিল। এক প্রর্য়ায়ে প্রায় ৩০বছর বয়সী ওই পাগলী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় উপজেলার বাদাঘাট বাজারের পরিচ্ছন্ন কর্মী হাফিজ উদ্দিনের তত্বাবধানে রেখে তার বাড়িতে থেকে পাগলিনী ফুটফুটে এক শিশু কন্যা প্রসব করেন। আর এই ডেলিভারির কাজটি করেন রাবেয়া বেগম। পরে রাবেয়া বেগম ও পরিচ্ছন্ন কর্মী হাফিজ বিকাল সাড়ে ৩টার উপজেলার বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির মাধ্যমে মা ও নবজাতক শিশু কন্যাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবার জন্য নিয়ে যায়।
সেখানে পাগলী ও বাচ্চাসহ তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শিশুটি সুস্থ থাকলেও পাগলী মা কিছুটা অসুস্থ থাকলেও চিকিৎসাসেবার পর আপাতত মা ও নবজাতক শিশু কন্যা ভাল আছেন বলে জানান কতর্ব্যরত গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিলুফার ইয়াসমিন।
ওই পাগলীর এর পূর্বে লাবিবা (৩) নামে একটা মেয়ে রয়েছে বলে জানান রাবেয়া বেগম। এই মেয়েটি একই ভাবে ভূমিষ্ট হলে আমি নিঃসন্তান হওয়ায় আমার নিজের মেয়ের মত করে নিজ দায়িত্বে ভরনপোষণ করে বড় করছি। এই শিশুটিকে আমিই নিতে চাই। কারন আগের শিশুটি আমাকেই মা বলে জানে। এ বিষয়ে বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মাসুক মিয়া বলেন, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা আমাদের সবাইকে খুব লজ্জার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আতিকুর রহমান জানান, কিছু দিনের জন্য রাবেয়া বেগম কাছে সদ্য ভূমিষ্ট ওই শিশু কন্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারন এর আগে জন্ম নেয়া শিশুটি তার কাছেই বড় হচ্ছে। এরপরও সবার সাথে কথা বলে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি করা যায়। এছাড়াও এ নবজাতক শিশু কন্যার পিতৃ পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশী তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সূত্রঃ বিডি২৪লাইভ