বিশ্বকাপজয়ী ৩ ক্রিকেটারের শাস্তি – যে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিসিবি !!
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ শেষে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের পাঁচ ক্রিকেটারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আজ মঙ্গলবার ভোরে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে আইসিসি। শাস্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের তিনজন ও রানার্সআপ ভারতের দুজন এই শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে। আইসিসি’র শাস্তির শিকার বাংলাদেশ দলের তিন ক্রিকেটার হলেন- তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও রকিবুল হাসান। আর ভারতের দুজন হলেন- আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়। আইসিসি কোড অব কন্ডাক্ট এর ২.২১ ধারায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাদের ।
শাস্তির বিষয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘শাস্তির বিষয়টি আমরা জেনেছি। আমাদের ম্যানেজারের কাছ থেকে দেশে ফিরলে ফিরলে রিপোর্ট নেওয়া হবে। বিস্তারিত সবকিছু জেনে এরপর যদি সুযোগ থাকে আমরা ব্যবস্থা নেব, আপিল করব শাস্তি কমানোর।‘
রকিবুল হাসান জয়সূচক শেষ রানটি নেওয়ার পর উল্লাসে মাতেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। এ সময় মাঠে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি এমনকি সামান্য ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে। পতাকা নিয়ে টানাহেঁচড়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন অধিনায়ক আকবর আলী। কিন্তু অধিনায়কের ক্ষমা প্রার্থনাতেও খুব একটা লাভ হয়নি।
পরে পুরো ঘটনা নিয়ে গতকাল সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয়। সে অনুযায়ী শাস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও জয়ের রান এনে দেওয়া রকিবুল হাসান।
বাংলাদেশের তৌহিদ পেয়েছেন ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। শামিমের সাসপেনশন পয়েন্ট ৮টি হলেও ডিমেরিট পয়েন্ট কিন্তু ৬টিই থাকছে। স্পিনার রকিবুল ৪টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যেটা ৫ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। এ পয়েন্টগুলো তিনজনেরই ক্যারিয়ারে আগামী দুই বছর থেকে যাবে।
এ শাস্তির ফলে আগামী দুই বছর জাতীয় দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে শাস্তি ভোগ করতে হবে এই পাঁচ ক্রিকেটারকে। এক সাসপেনশন পয়েন্ট মানেই একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় বা এ দলের একটি ম্যাচ খেলতে না পারার শাস্তি। সে অনুযায়ী বেশ বড় শাস্তিই জুটেছে সবার।