ভালবেসে করে বিয়ে, এরপর স্ত্রীকে ঘরে নেওয়ার পরদিনই স্বামীর আত্মহ’ত্যা !!
চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্ত্রীকে ঘরে তোলার পরদিনই ওসমান গনি (৩১) নামে এক ব্যাংকার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহ’ত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার দক্ষিণভূর্ষি ইউনিয়নে নিজ গ্রামের বাড়ির রান্নাঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। ওসমান পশ্চিম ডেঙ্গাপাড়া গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে এবং ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখার কর্মকর্তা। মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নগরের চৈতন্যগলিতে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে বাড়ির অন্যরা ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘরের দরজা বন্ধ পান। সকাল ৮টার দিকে ওসমানের মা তাকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে সিলিংয়ের সঙ্গে রশিতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওসমানকে দেখতে পান। এ সময় তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের স্ত্রী শাকিলা আকতার বলেন, ‘২০১৬ সালে ওসমানের সঙ্গে আমার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালে আমরা চট্টগ্রাম সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের কাছে হলফনামামূলে বিয়ে করি। হলফনামায় বার লাখ টাকা দেনমোহর এবং ৫০ হাজার টাকা উশুল উল্লেখ করা হয়। এরপর থেকে আমরা টেকনাফে সংসার করে আসছি। ওসমানের পরিবার প্রথমে আমাদের সম্পর্ক মেনে না নিলেও শুক্রবার আমি তাদের বাড়িতে গেলে তারা আমাকে ঘরে তুলে নেয়। এসময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার আহমদ নুর সাগরসহ গণ্যমান্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পাই রান্না ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে আত্মহ’ত্যা করেছে ওসমান।’
ওসমানের এক আত্মীয় বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে ওসমানের বিয়ের বিষয়টি পরিবারের কেউ জানত না। বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা শুরু করলে ওসমান তা পরিবারকে জানায়। পরিবার প্রথমে মেনে না নিলেও শুক্রবার মেনে নেয়।’
পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক রোকন উদ্দিন জানান, ‘পটিয়া হাসপাতাল থেকে লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সেখানে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ওসমান দুই বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। কিন্ত পরিবার তা জানত না। শুক্রবার স্ত্রীকে ঘরে তোলার পরদিন তিনি আত্মহ’ত্যা করেন।’