অতিরিক্ত টাকা দাবি করায় যৌনকর্মীকে হত্যা!
একটি ভাসমান যৌনকর্মীকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। খোকন ভূঁইয়া (২৮) নামে এক যুবক। অতিরিক্ত টাকা দাবি করায় সে যৌনকর্মীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তারপর সে তার মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপন করে।
তার অভিমত ছিল যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে কোনভাবেই চিহ্নিত করতে পারবে না। তবে শেষ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে রাজধানীর সেনানিবাসের মাটিকাটা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
ডিবি’র তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) শাহাদাত হোসেন সুমা সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জাগো নিউজকে বলেন।
তিনি বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শ্যামলী এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে এক নারীর লাশ হাতকড়া পরা অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহতের স্বামী বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। একপর্যায়ে খোকনকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হয়।
তদন্তকারীরা বলছেন, খোকন একসময় মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিক ছিলেন। দেশে ফিরে তিনি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি নেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর তিনি মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকায় এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান। দুজনে সেখানে বিয়ার পান করল। এরপর তিনি ফার্মগেট এলাকায় চলে যান।
তিনি দুপুর ২ টার দিকে ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজে আসমা ওরফে লিমা বেগম ওরফে কবিতা (২৫) নামে এক মহিলার সঙ্গে কথা বলেন। কবিতা যখন তার সাথে রাত কাটাতে রাজি হয়, তখন তারা দুজন শ্যামলী ভবন নং ৪/১, রাজ ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে যায়। স্বামী -স্ত্রী হিসেবে তারা হোটেলের ষষ্ঠ তলায় ৬০২ নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন। পরের দিন, কবিতার লাশ একই রুমে পাওয়া যায় যার হাত বিছানায় বাঁধা ছিল।
ডিবি সূত্রে খবর, কবিতা তিন হাজার টাকার চুক্তিতে খোকনের সঙ্গে হোটেলে রাত কাটাতে রাজি হয়েছিল। সেখানে তারা অন্তরঙ্গ সময় কাটায়। কিন্তু পরে কবিতা বসে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। তিনি টাকা না পেলে চিৎকার করে সবাইকে বলার হুমকি দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে ৬ সেপ্টেম্বর সকালে খোকন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এডিসি শাহাদাত হোসেন সুমা জানান, তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি এসআই সুকান্ত বিশ্বাস সোমবার খোকনকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। তিনি আসামির জবানবন্দির রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন। পরে, আদালত ১৬৪ ধারায় অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার জন্য তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।