আছিয়া টিকা দিতে গিয়ে জানতে পারলেন তিনি ২০১৬ সালে মারা গেছেন!
ময়মনসিংহের ত্রিশালে একজন জীবিত মহিলাকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তার নাম কেটে মৃত দেখানো হয়েছে।
জানা গেছে, ত্রিশাল পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী মোশা আসিয়া আক্তার ২০০৮ সালে ভোটার হন। এরপর তিনি জাতীয় নির্বাচনসহ পৌর নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। তিনি এক সময় ৯ বছর ধরে জাতীয় পরিচয়পত্রের উপর বসবাস করছিলেন। আসিয়া যখন ২০২১ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে গিয়েছিল, তখন তাকে জানানো হয়েছিল যে তার নাম ভোটার তালিকায় নেই। সেই সময় আশিয়ার ধারণা ছিল যে কোন কারণে নাম আসেনি। তাই তিনি ভোট দিতে পারেননি।
এদিকে, যখন করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল, ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার আসিয়াকে বলেছিলেন যে তাকে সার্বিয়াতে পাওয়া যাবে না। হাসপাতাল থেকে ফিরে আসিয়া আক্তার ত্রিশাল পৌরসভা গণ টিকা কর্মসূচিতে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখান।
আশিয়ার স্বামী যখন জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন, তখন তাকে জানানো হয়েছিল যে ২০১৬ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তার নাম বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপর আসিয়া আক্তারের স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছিলেন আবার ভোটার হন।
আসিয়া আক্তার বলেন, আমি দুই সন্তানের মা। আমি বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছি। আমার পরিবারের কেউ মারা যায়নি। আমি এখনো বেঁচে আছি, আমার পরিচয় কেন জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এ নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ।
তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে নাম মুছে ফেলার কারণে অনেক সমস্যা হয়েছে। আমাকে অনেক জায়গায় দৌড়াতে হয়েছে। আবার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিয়েছি।
ত্রিশাল নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক মিয়া বলেন, আসিয়া আক্তারকে ২০১৬ সাল থেকে মৃত দেখানো হয়েছে। মনে হচ্ছে তথ্য সংগ্রহকারীরা কোথাও ভুল করেছেন। তার ভোটার কার্ড সংশোধনের জন্য একটি আবেদন করেছে। বিষয়টি সমাধান করা হবে।