আপনার নিত্যদিনের যে অভ্যাসই ডেকে আনতে পারে বিপদ !!
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার কোনও বিকল্প নেই। তাই তো আগের চেয়ে অনেক বেশিবার হাত ধুচ্ছি আমরা। বাইরে থেকে বাড়িতে ঢোকার পরেও অনেক সাবধান হয়ে গিয়েছি। কিন্তু জানেন কি আপনার নিত্যদিনের কিছু অভ্যাসই ডেকে আনতে পারে বিপদ। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে আজই বদলান ওই অভ্যাসগুলি।
আপনি কি কমোডের মুখ ঢাকা না দিয়ে ফ্লাশ করেন? আমেরিকান জার্নাল অফ ইনফে’কশন ক’ন্ট্রো’লের বিশেষজ্ঞদের মতে, এর চেয়ে বেশি বদভ্যাস আর কিছুই হতে পারে না। কারণ ঢাকনা বন্ধ না করে ফ্লাশ করার অর্থ জীবা’ণুকে চতুর্দিকে ছ’ড়িয়ে পড়তে সাহায্য করা। জল ফ্লাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের দ’খলে চলে আসতে পারে আপনার সাধের বাথরুম। তাই আজই এই অভ্যাস বদল করুন।
বহু শিশুর পেন চিবনোর অভ্যাস থাকে। ওই পেনটিতে তার ফলে থুতু লেগে যায়। সঙ্গে লেগে যায় জীবা’ণুও। সেটি অন্য কেউ হাত দিলে ভাইরাস তাঁর কাছে চলে যেতে বেশি সময় লাগে না। তাই পেন চিবনোর অভ্যাস আজই ছা’ড়ানোর চেষ্টা করুন।
আপনার খুদের কি খেলনা মুখে দেওয়া অভ্যাস আছে? থাকলে সেই অভ্যাস আজই বদলানোর চেষ্টা করুন। আর যতদিন না সে নিজে সাবধান হচ্ছে ততদিন তার খেলনা রোজ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। যাতে তা মুখে দিলেও কোনও ভাইরাস শরীরে প্রবেশে সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
রান্নাঘরের ব্যস্ততার মাঝে হাতের কাছে কাঁচি খুঁ’জে পাচ্ছেন না। অথচ সেই সময় দুধের প্যাকেট আপনাকে কা’টতেই হবে। অগ’ত্যা তাড়াতাড়ি করে দাঁত দিয়েই ছিঁ’ড়ে ফে’ললেন দুধের প্যাকেট। ব্যস! এই কাজ করলেন মানেই ভাইরাসকে অন্যান্যদের শরীরে ছ’ড়িয়ে পড়ার জন্য সাহায্য করলেন। তাই ভুল করেও হাজার ব্যস্ততা থাকলেও এই কাজ করবেন না।আপনি কি বাসন মাজার জন্য একই স্পঞ্জ বহুদিন ধ’রে ব্যবহার করছেন। মনে রাখবেন, খাওয়াদাওয়া করার প্লেটই সবচেয়ে বেশি পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে সপ্তাহে কিংবা ১৫ দিন অন্তর স্পঞ্জ বদল করুন।