আপ্যায়নের পরিবর্তে জামাইকে হাতুড়িপেটা করে পুলিশে দিলেন শ্বশুর !
কনের সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে আপ্যায়নের পরিবর্তে, হাতুড়ি-পেটানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাকে চুরির চেষ্টার অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
কনের স্বামী জাকারিয়াকে সোমবার আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে।
এর আগে, রোববার বেলা ১ টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হাতুড়ি মারার শিকার জাকারিয়া রাজবাড়ি সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। জগন্নাথপুর ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।
জাকারিয়ার চাচা রবিউল ইসলাম জানান, মেয়েটি তার ভাতিজার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে মেয়ের বাবা তার ভাতিজাকে মারধর করে। হঠাৎ, ২৪ আগস্ট, তারা গোপনে কাজীর অফিসে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা ওই বাড়িতেই থাকতেন।
জাকারিয়ার চাচা অভিযোগ করেন, রবিবার রাতে তার ভাগ্নির মোবাইল ফোনে মেয়েটির ম্যাসেজ আসলে ভাগ্নির সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসে। এ সময় মেয়েটির বাবা খলিল মাস্টার তার শ্বশুর বাড়ির 4-5 জনের সাথে বাড়িতে আটকে যায় এবং তার ভাতিজাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। তারপরে তাকে তার বিরুদ্ধে চুরির চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, তারা রাত ১ টার দিকে খলিল মাস্টারের বাড়িতে ঢোকার জন্য ওই যুবককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে পরিবারের পক্ষ থেকে চুরির চেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।