দেশের খবর

আবারও কর্মস্থলে ছুটছেন পোশাক শ্রমিকরা !!

করোনাভা’ইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আগামী ৫ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে সাধারণ ছুটি। এরই মধ্যে  বিভিন্ন অঞ্চলে চালু হচ্ছে পোশাক কারখানা। এর জের ধরে নিজ নিজ কর্মস্থলে ছুটে চলেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও সংশ্লিষ্টরা।শনিবার বিকেল ৪টার পর থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের বিভিন্ন মহাসড়ক দিয়ে হেঁটে ও রিকশাযোগে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।

গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার কর্টেজ গার্মেন্টস লিমিটেডের ফিনিশিং শাখার সিনিয়র অপারেটর হাসিনা আক্তার। বাড়ি নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুর উপজেলার লক্ষীপুরা গ্রাম থেকে ফিরেছেন তিনি। হাসিনা বলেন, “সরকার আর গার্মেন্টস মালিকেরা আমাদেরকে নিয়ে মরণ খেলা খেলতেছে। সরকার বলে ঘরে থাকতে, মালিক বলে রাস্তায় বের হও। আমাদের কোনো উপায় নেই।”

বিকেল সাড়ে ৫টায় সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় হাতে ব্যাগ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন সাইফুল ইসলাম। তিনি গাজীপুর মহানগরের সাইনবোর্ড এলাকার ইভা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের শ্রমিক। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মোটেরবাজার এলাকা থেকে কর্মস্থলে যোগ দিতে এসেছেন তিনি।  কারখানায় না গেলে এপ্রিলের বেতন-ভাতা পাবেন না, এমনকি চাকরিও যেতে পারে-এমন ভয় পাচ্ছেন তিনি।

এমনই আরেকজন পোশাক শ্রমিক শেরপুরের নকলা উপজেহলার ভানুসার্দি এলাকার শান্ত মিয়া। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলা ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার তালহা ফেব্রিক্স লিমিটেডের শ্রমিক। গাজীপুরে ভাড়া বাসায় ছিলেন। ১৬ এপ্রিল বেতন নিয়ে শেরপুরে বাড়ি চলে যান তিনি। সে সময় তার প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারা যারা বাড়ি থেকে এসেছিলেন তাদের কাউকে বাড়িওয়ালারা বাসায় উঠতে দেননি। তিনি নিজেও আজ বাড়িওয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ করে আসেননি। বাড়িওয়ালা
বাড়িতে উঠতে দেন কিনা সেই শঙ্কায় আছেন তিনি।

এসব বিষয়ে গাজীপুর মহানগরের কড্ডা নাওজোর এলাকার পলমল গ্রুপের কোয়ার্টজ অ্যাপারেলস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন) সৈয়দ শামসুর রায়হান বলেন, “ছুটি দেওয়ার সময় কোনো শ্রমিককে বাড়ি যেতে বলা হয়নি। তাছাড়া যারা বাড়ি গেছে তাদেরকে ডাকা হয়নি। যারা কারখানার আশপাশে রয়েছে তাদেরকে দিয়ে, তথা ৩০ ভাগ শ্রমিক দিয়ে উৎপাদন চালু রাখব। যারা আসতে পারবে না তাদেরচাকরি চলে যাবে এমনটি বলা হয়নি। আমরা বিজিএমইএ’র নির্দেশনা মেনে চলব। আর করোনা পজেটিভ বা নেগেটিভ এমন নিশ্চয়তা দেওয়ার সুযোগ কারখানা কর্তৃপক্ষের নেই।”

সূত্রঃ বিডি২৪রিপোর্ট

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button