আহত হিন্দুর বাড়ি গেলেও মৃ’ত মুসলিমের বাড়ি গেলেন না মন্ত্রী !!
বর্তমানে সিএএ–এনআরসি নিয়ে উত্তাল ভারত। এদিকে মুখে নিরপেক্ষতার কথা বললেও ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন সরকার যে তা মোটেও নয়, সেই প্রমাণ আবারো পাওয়া গেল। আজ ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার যোগির মন্ত্রিসভার সদস্য কপিল দেব আগরওয়াল গত সপ্তাহে বিজনৌরে হওয়া সিএএ–এনআরসি বিক্ষোভে জখম হিন্দু যুবক ওম রাজ সাইনির বাড়ি যান।
চলমান বিক্ষোভে ওই শহরেরই বাসিন্দা দুই মুসলিম যুবকের মৃ’ত্যু হয়। অথচ তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি মন্ত্রী। পরে সাংবাদিকরা তাকে বিজেপি সরকারের ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ স্লোগান স্মরণ করিয়ে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি জখম হিন্দু যুবকের বাড়ি গেলেও একই শহরের মৃত দুই মুসলিম যুবকদের বাড়ি যাননি।
এদিকে সাংবাদিকরা এ কথাও বলেন যে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও নেহতৌরে গিয়ে তিনজনের বাড়িই গিয়েছিলেন। তখন কোনোরকম ধর্মীয় ভেদাভেদের প্রসঙ্গ এড়িয়ে কপিল সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, আমি কেন বিক্ষোভকারীদের বাড়ি যাব। আমার কথা শুনুন। যারা বিক্ষোভ করছেন এবং ভাবাবেগে ইন্ধন জোগাচ্ছেন, তারা কিভাবে সমাজের অংশ হন। এটা হিন্দু–মুসলিম ইস্যু নয়।
তবে নিজের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো এক মুসলিম সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করেইছি, যিনি সেদিনের বিক্ষোভে জখম হয়েছিলেন। পুলিশের কাছে শুনেছি, মাঠ থেকে কৃষিকর্ম সেরে ফেরার পথে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া বুলেটে জখম হয়েছিলেন ওম রাজ। সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তার সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসায় যাবতীয় সহায়তার আশ্বাস আজ ওমের পরিবারকে দেন কপিল।’
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেকেরই প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে। কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। অন্যদিকে, মৃত ২০ বছরের যুবক সুলেমান এবং ২৫ বছরের যুবক আনাসের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের গু’লিতে মারা গেছেন তারা। জেলা পুলিশ পরে সে কথা স্বীকার করলেও দাবি করে, পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গু’লি ছোড়ায় আত্মরক্ষার্থে পুলিশকর্মীরা গু’লি চালিয়েছিলেন।’