ইংল্যান্ডের রাজভাণ্ডার যেন এক স্বর্ণের খনি (ভিডিওসহ)
অধিকাংশ আধুনিক ব্যাংকেরই প্রতিষ্ঠা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে মডেল ধরে। বিশ্বের অষ্টম পুরনো ব্যাংকটির সোনার ভল্ট একধরনের র’হ’স্য’ই বলা চলে। যা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।যেমন ব্যাংকটির ভেতরে কী পরিমাণ স্বর্ণ আছে? এই প্রশ্নটির জবাব শুনলেই অ’বা’ক না হয়ে পাড়া যাবে না। সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই সোনার ভল্টের বি’র’ল দৃশ্যের ভিডিও।এটি এমন এক নিরাপদ জায়গা, প্রতিবেদক যা চোখে দেখেছেন, তার ভিডিও ধারন তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
সাংবাদিকের প্রশ্নে ভল্ট কর্মকর্তা বলেন, এসব স্বর্ণ খুবই বি’র’ল ও মূল্যবান। সরবরাহও সীমিত। এটা বানানো যায় না। এসব স্বর্ণ এখানে মজুত রাখা হয়েছে, কারণ এর আর্থিক মূল্য কখনো পড়ে যাবে না। যেকোনো সময় বিনিময় করা যাবে।তিনি বলেন, এটার বৈশ্বিক স্বীকৃতি রয়েছে। স্বর্ণের চাহিদা সবসময়ই থাকবে। বড় কথা হচ্ছে, এটা নিজের বাজার নিজেই তৈরি করে।
‘মুদ্রার মতো এটার মূল্য খুব একটা পরিবর্তন ঘটে না। টেকসই তো বটেই।’বিভিন্ন দেশ এই স্বর্ণের উৎস। ব্যাংকটিতে চার লাখের বেশি স্বর্ণের বার রয়েছে। যার মূল্য হবে ২০ হাজার কোটি ডলার।এসব বার দিয়ে কোটি কোটি বিয়ের রিং বানানো যাবে। অথবা গোটা ব্রিটেনকে ছয়বার স্বর্ণের পাতা দিয়ে মুড়িয়ে দেয়া যাবে।
স্বর্ণের একটি বার হাতে নিয়ে তার মূল্য জিজ্ঞাসা করলে এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি বাজারে ছয় লাখ একুশ হাজার ডলার। এখানের অধিকাংশ বারই সামান্তরাল নয়। এগুলো সহজেই হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করা যায়।যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা একটি বার দেখিয়ে তিনি বলেন, এটা একেবারেই আস্ত ইটের মতো। এটা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের।১৬৯৪ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এতে কোনো ডাকাতি কিংবা চু’রি’র ঘটনা ঘটেনি।