ইউএনও’র স্বীকৃতি দেয়া কুড়িয়ে পাওয়া সেই শিশুটি বেঁচে নেই !!
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটি অবশেষে মৃত্যুবরণ করেছে।চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকালে দিনাজপুর এম আব্দুর রহমি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটি মারা যায়। এরপর পুলিশের সহায়তায় মৃত শিশুটিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা.নাজমুন নাহার নিজে নিয়ে গিয়ে জানাজা ও দাফন কার্য সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক চৌহান।
তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে নবাবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা.নাজমুন নাহার স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে সাথে নিয়ে পুলিশের সহায়তায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহমি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটি’র সাথে সারারাত অবস্থান করেন।
কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকাল সোয়া ৭ টায় শিশুটি মারা যায়। এরপর পুলিশের সহায়তায় মৃত শিশুটিকে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা.নাজমুন নাহার নিজে নবাবগঞ্জে নিয়ে আসেন। তার বাসভানের সামনে জানাজা শেষে নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় গোর স্থানে শিশু’টির দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।দিনাজপুর এম আব্দুর রহমি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে কর্মকত চিকিৎসকগণ জানান, শিশুটিকে অপরিপক্ত অবস্থায় সাড়ে ৬ মাসে প্রসব করানো হয়েছে। শরীরে আঘাত পেয়েছে। এ কারণে শিশুটি শ্বাসকষ্টে মৃত্যুবরণ করেছে।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের বাজার এলাকার একটি সেতুর পাশের ধান ক্ষেতের আইল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করে ওই এলাকার যুবক কবিরুল ইসলাম। কবিরুল শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন-উর-রশিদের কাছে নিয়ে আসেন। সদ্য ভুমিষ্ট ওই শিশু’র শরীরে প্রসবের রক্ত মাখা ছিলো।
কবিরুল শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন-উর-রশিদের কাছে নিয়ে আসেন। সদ্য ভুমিষ্ট ওই শিশু’র শরীরে প্রসবের রক্ত মাখা ছিলো।ইউপি সদস্য শিশুটি স্থানীয় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দেয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নবাবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা.নাজমুন নাহারকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুঁটে আসেন। তিনি শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে কোলে তুলে নিয়ে মা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
যদি ওই শিশুটি’র বৈধ অভিভাবক না পাওয়া যায়, তবে তিনিই মা হিসেবে কুড়িয়ে পাওয়া শিশু কন্যাকে লালন পালন করবেন বলেও উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান। একজন ইউএনও’র মহা অনুভবতা এবং ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।