Islamic

ইতিহাসে যেসব ম’হামারী ও যুদ্ধ মুসলমানের ইবাদতকে প্রভাবিত করেছে !!

ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনার নেতিবাচক প্রভাব বিরূপ আকার ধারণ করেছে। অনেকে হারিয়েছে চাকরি, বন্ধ রয়েছে যানবাহনের চাকা; পাবলিক প্লেসগুলো হয়ে পড়েছে জনশূন্য।সারাবিশ্বে প্রায় তিন বিলিয়ন মানুষ কোনো না কোনোভাবে লকডাউনে আটকে আছে।

করোনার কারণে মুসলমানের ধর্মীয় আচারেও এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। গোটা পৃথিবীর প্রায় দুই বিলিয়ন মুসলমান এবার অনেকটা গৃহবন্দি অবস্থায় পালন করছেন তারাবি ও ইফতারসহ রমজানের সব ইবাদত।সৌদি আরবসহ মুসলিম অধ্যুষিত অনেক দেশেই মসজিদগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে জুমার নামাজসহ ধর্মীয় সব বড় বড় সমাবেশ, যেখানে একসঙ্গেই হাজার হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করতেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে ওমরাহ।

ইসলামের ১৪০০ বছরের ইতিহাসে কোনো ম’হামারী মুসলমানের ইবাদতে এত বেশি পরিমাণ প্রভাব ফেলেছে, তার নজির নেই। তবে ইতিহাসে অনেকবারই বিভিন্ন কারণে মুসলিম বিশ্বে ধর্মীয় সমাবেশের ওপর আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

কাতারের হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটির শরিয়াহবিষয়ক সহযোগী অধ্যাপক মুতায আল খতিব বলেন, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ম’হামারীর কারণে ইতিহাসে অনেকবার ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছিল। আমরা সংক্ষেপে এমন কয়েকটি ঘটনার বিবরণ পেশ করছি।

কুরমাতী আ’ক্রমণ (৯৩০ সাল)

তৎকালীন বাহরাইনের কুরমাতীয় গোষ্ঠী অকস্মাৎ মক্কা আ’ক্রমণ করায় সে বছর বার্ষিক হজ বাতিল করা হয়েছিল। কোনো কোনো সূত্রে জানা যায়, ওই আ’ক্রমণে প্রায় ৩০ সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছিল।আবু তাহির আল জান্নাবির নেতৃত্বে এই আ’ক্রমণে শুধু হজই বন্ধ হয়েছিল তা নয়; বরং আ’ক্রমণকারীরা হাজরে আসওয়াদ লুট করে নিয়ে গিয়েছিল। এমনকি শহীদ হাজীদের মৃতদেহ তারা জমজম কূপে ফেলে দিয়েছিল।

কলেরা ম’হামারী (ঊনবিংশ শতাব্দী)

ঊনবিংশ শতাব্দীর ১৮৩৭ ও ১৮৪৬ সালে কলেরা ম’হামা’রী আকার ধারণ করলে হজ বাতিল করা হয়।১৮৬৫ সালে পুনরায় কলেরা ম’হা’মারী আকার ধারণ করলে আ’ক্রান্তদের হেজাজ ও সিনাইয়ের বেশ কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৮৩০ থেকে ১৯৩০ এই ১০০ বছরে অন্তত ২৭ বার মক্কায় কলেরা ম’হামা’রী ছড়িয়ে পড়েছিল।

মসজিদুল হারাম অবরোধ (১৯৭৯ সাল)

১৯৭৯ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তৎকালীন সৌদি সেনাপ্রধান জুহাইমান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সাইফ আল উতাইবির নেতৃত্বে প্রায় ৫০০ অস্ত্রধারীর একটি বাহিনী অন্তত দুই সপ্তাহ ধরে মসজিদুল হারাম অবরোধ করে রাখে।পরে ফ্রান্সের স্পেশাল পুলিশ ফোর্সের সহায়তায় সেই অবরোধ ভেঙে দেয়া হয়। এবং মসজিদুল হারাম পুনরায় সৌদি সরকারের আয়ত্তে আসে।

ইবোলা ম’হামারী (২০১৪ সাল)

২০১০ সালের গোড়ার দিকে যখন ম’হামারী ইবোলা ছড়িয়ে পড়ে, বিশ্বের প্রায় সব দেশই পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে ভিসা স্থগিত করে।২০১৪ সালে সৌদি সরকার ইবোলাভা’ইরাসের কেন্দ্র হিসেবে গিনিয়া, লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওনের নাগরিকদের জন্য হজ ও ওমরাহর ভিসা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।

সিরিয়া যুদ্ধ (২০১৬ সাল)

সরকারি শাসকগোষ্ঠীর বিমান হামলার কারণে ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল সিরিয়ার আলেপ্পোতে জুমার নামাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এবং সেবারই প্রথম বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো নগরী আলেপ্পোতে সর্বসাধারণের জন্য মসজিদে গমন নিষিদ্ধ করা হয়।তবে চলমান করোনা সংকটের কারণে ইতিহাসে এবারই প্রথম জামাতবদ্ধ ধর্মীয় ইবাদতে এত বৃহৎপরিসরে স্থবিরতা নেমে এসেছে।

আলজাজিরা থেকে অনূদিত

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button