ইসলাম ধর্মের প্রচারের হিসেবে লন্ডনের বাসগুলোতে আল্লাহ, মুহাম্মদ (সা.) লেখা শুরু !!
লন্ডন সিটির পাবলিক ট্রান্সপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবস্থা হলো বাস-সার্ভিস। আর অনেকগুলো বাসে আল্লাহ, মুহাম্মদ (সা.), সুবহানাল্লাহ’সহ ইসলামধর্মের দিকে আহ্বান ও উদ্বুদ্ধকারী বিভিন্ন কথা লেখা থাকে। যা সচরাচর পথচারী, যানবাহনের যাত্রী ও অন্যদের দৃষ্টি কাড়ে। খবর যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের। ব্যবস্থাপকরা বিশ্বাস করেন, এগুলোর মাধ্যমে লন্ডনসহ ব্রিটেনের বড় বড় পাঁচটি শহরে ইসলামফোবিয়া মোকাবেলায় ও নেতিবাচক পরিবেশ পরিবর্তনে দারুণ উপলক্ষ্য তৈরি হবে।
মূলত ইসলামধর্মের প্রচারের অংশ হিসেবে ও সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে আক্রান্তদের সাহায্যের জন্য ব্রিটেনের বিখ্যাত ও বড়সড় কিছু মুসলিম দাতব্য প্রতিষ্ঠান এসব কিছুর আয়োজন ও ব্যবস্থা করে থাকে। এর মাধ্যমে তারা অসহায় ও দারিদ্রদের সেবাপ্রদান এবং জাকাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই করে থাকে। বাসগুলোতে সাধারণত ক্যালিগ্রাফি করে কোরআনের আয়াতের অর্থ, হাদিসের উদ্ধৃতি ও ইসলামধর্ম বিষয়ক বিভিন্ন কিছু লেখা থাকে।
তন্মধ্যে কয়েকটি হলো- ‘Prophet Muhammad, The light of life Teacher of truth. A blessing for the believers’ ‘For the love of Allah’ ‘O Mankind, Spread peace & feed people’ দাতব্য সংস্থাগুলোর ব্যবস্থাপকরা আশা করেন, এ ধরনের চমৎকার আয়োজনের মাধ্যমে ব্রিটিশ মুসলিমদের পাশাপাশি স্থানীয়রা শরণার্থী ও দরিদ্রদের প্রতি সহযোগিতাপ্রবণ হবে। এ ধরনের প্রচারাভিযান প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের দাতব্যসংস্থা ‘ইসলামিক রিলিফ ইউকে’র পরিচালক ইমরান ম্যাডেন বলেন, ‘এভাবে প্রচারাভিজানকে নেতিবাচক ও বৈরি পরিবেশ বদলানোর প্রচেষ্টা বলতে পারেন।
এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থগুলো দিয়ে অসহায় ও দারিদ্রদের সহায়তা করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবেও বিষয়টি নজরে আসে।’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে শহরটির নির্বাচিত প্রথম মুসলিম মেয়র সাদিক খান লন্ডনে বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি তৈরি করে এ ধরনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ কারণে তাকে অহেতুক অভিযুক্তও করা হয়েছিল।
ব্রিটেনের ‘ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন’ (টিএফএল) শহরের বাসগুলোতে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন, স্লোগান ও বক্তব্য প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে ইসলাম ধর্মীয় এসব বিজ্ঞাপন প্রকাশে টিএফএল কর্তৃপক্ষ বাধা দেয় না। বাসগুলো সাধারণত লন্ডন, বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার, লিসেস্টার এবং ব্র্যাডফোর্ডে যাত্রী পরিবহন করে করে থাকে।
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, প্রায় ত্রিশ লাখ মুসলিম লন্ডনে বাস করেন। পরিসংখ্যানে যা লন্ডনে বসবাসকারী জনগণের অর্ধেক প্রায়।