ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানালেন ভারতীয় শীর্ষ আলেমরা !!
ভারতে করোনা পরিস্থিতির কারণে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ নিজেদের ঘরে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের শীর্ষ আলেমরা। একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে ঈদ-মিলন অনুষ্ঠান, খাওয়া-দাওয়ার আসরসহ যাবতীয় উৎসব নিজেদের ঘরে করার অনুরোধ জানান তিনি। বিশেষ করে ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ, জামায়াতে ইসলামি-হিন্দসহ মুসলমানদের বেশকিছু সংগঠনের পক্ষ থেকেও এই আহ্বান জানানো হয়।-খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি ও মন্ত্রী সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ঈদকে ঘিরে আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। নিজেদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে গ্রামে বা শহরের ঈদের মাঠে জামাতের সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়ার আহ্বান জানান তিনি। তবে, তিনি নামাজের আগের বয়ান পরিত্যাগ করার কথা বলেছেন।প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে ঈদের নামাজ ঘরে আদায় প্রসঙ্গে ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় একটি ফতোয়া চাওয়া হলে তার জবাবেও একই ধরনের আহ্বান জানানো হয়। দেওবন্দ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানি স্বাক্ষরিত ফতোয়াটিতে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে জুমার নামাজের পরিবর্তে যেমন জোহর পড়ার অবকাশ ছিল, তেমন অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঈদের নামাজ ঘরেও পড়া যাবে।
ফতোয়াটিতে আরও বলা হয়, জুমার নামাজের জন্য যেসব শর্ত রয়েছে, ঈদের নামাজের জন্য ঠিক সেই শর্তগুলোই প্রযোজ্য। পার্থক্য শুধু এতোটুকুই জুমার নামাজের খুৎবা ওয়াজিব এবং নামাজের আগে দিতে হয়, আর ঈদের নামাজের খুৎবা সুন্নত এবং নামাজের পরে দিতে হয়। তাই, অবস্থা যদি এমনই থাকে এবং দেশে আরোপিত লকডাউন কার্যকর থাকে তাহলে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ নিজের ঘরেই পড়ে নিবেন। গ্রহণযোগ্য কোনো কারণে যারা নিজের ঘরেও পড়তে পারবেন না, আশা করা যায় আল্লাহতায়ালা তাদের ক্ষমা করে দিবেন।