উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিল্লি , আন্দোলনকারীদের দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ – নিহত ১১, আহত ১০০০ !!
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। সিএএ সমর্থক ও বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিল্লি। সোমবারের সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালেও অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ ব্যাপক সহিংসতা অব্যাহত আছে। নজিরবিহীন এ সহিংসতায় এক পুলিশসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। আরও ১০০ জন আহত হয়। আহত ৪৮ পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার থেকে প্রায় গোটা উত্তর-পূর্ব দিল্লিজুড়েই ১৪৪ ধারা করা হয়েছিল। মঙ্গলবারও তা অব্যাহত ছিল। কিন্তু কারফিউ উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার যেভাবে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে, তাতে উদ্বেগ বেড়েছে দিল্লি পুলিশের। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। অবশেষে সন্ধ্যার দিকে সবচেয়ে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার বৈঠক ডাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুপুরে ওই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। বৈঠকে সেনা নামানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখনই প্রয়োজন না হলেও সেনা নামানোর রাস্তাও খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং গুজবে কান না দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।