Health

উপসর্গহীন করোনা রোগীদের যে ৫টি বিষয় জানা জরুরি !!

গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথমবারের মতো নভেল করোনাভা’ইরাস শনাক্তের পর থেকেই এর সংক্রমণের মাধ্যম খুঁজে পেতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। জানা গেছে, প্রা’ণঘা’তী এই ভা’ইরাস মানুষের হাঁচি-কাশি, থুতু, মুখের লালা বা সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমিত হয়। সেক্ষেত্রে আ’ক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। তবে গবেষকরা এমন কিছু ঘটনা খুঁজে পেয়েছেন যেখানে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলেও আ’ক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা যায়নি। উপসর্গহীন এ ধরনের রোগীরা করোনা ছড়ানোয় কতটুকু ভূমিকা রাখছেন তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

দেখে নেয়া যাক উপসর্গহীন রোগীদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি তথ্য-

উপসর্গহীন রোগী কারা?
যেসব ব্যক্তি করোনায় আ’ক্রান্ত হয়েছেন অনেক দিন আগে, কিন্তু তাদের কোনও ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়নি অর্থাৎ অসুস্থ হননি, তাদেরই উপসর্গহীন বা অ্যাসিম্পটমেটিক রোগী বলা হচ্ছে।তবে অ্যাসিম্পটমেটিকের সঙ্গে প্রি-সিম্পটমেটিক রোগীর পার্থক্য রয়েছে। করোনায় আ’ক্রান্ত হওয়ার পর উপসর্গ দেখা দিতে সাধারণত বেশ কিছুদিন সময় লাগে।

সেক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দেয়ার আগপর্যন্ত এ ধরনের রোগীকে বলা হচ্ছে প্রি-সিম্পটমেটিক।সাধারণত ভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যেই উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এ পর্যন্ত বেশিরভাগ রোগীদেরই পাঁচ থেকে ছয়দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে পরিচিত উপসর্গগুলো হচ্ছে- জ্বর, সর্দি, শুষ্ক কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলায় খুসখুস, ডাইরিয়া, স্বাদহীনতা প্রভৃতি।

উপসর্গহীনরা কি করোনা ছড়াতে পারেন?

এখন পর্যন্ত এ প্রশ্নের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের উত্তর: হ্যাঁ!উপসর্গহীনদের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে এ ধারণা বজায় রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। এ বিষয়ে আরও জানতে গবেষণা চলছে।

অ্যাসোসিয়েশন অব পিজিশিয়ানস অব পাকিস্তানি ডিসেন্ট অব নর্থ আমেরিকার সভাপতি ডা. নাহিদ উসমান বলেন, ‘উপসর্গহীনদের সাধারণত স্ক্রিনিং করা হয় না, অন্তত যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে না। তারা অবশ্যই রোগ ছড়াতে পারেন।’

উপসর্গহীনরা কীভাবে ভা’ইরাস ছড়ান?

সিম্পটমেটিক (উপসর্গযুক্ত) ও প্রি-সিম্পটমেটিক রোগীদের মতো অ্যাসিম্পটমেটিক রোগীরাও হাঁচি, কাশি, থুতু বা সরাসরি শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে করোনার বিস্তার ঘটাতে পারেন।

ইউসিএলএ’র স্কুল অব পাবলিক হেলথের প্রফেসর অ্যানি রিমোইন বলেন, ‘আপনি যখন কথা বলেন তখন কিছুটা হলেও থুতু ছিটান। আপনি নাক ঘষবেন, মুখ স্পর্শ করবেন, চোখ ডলবেন, তারপর অন্য পৃষ্ঠতল স্পর্শ করবেন। যদি আপনি আ’ক্রান্ত থাকেন, তবে সেখান থেকেই ভা’ইরাস ছড়িয়ে দেবেন।’

উপসর্গহীনরা কি কম সংক্রামক?

বিষয়টি এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। এটি নিয়ে আরও গবেষণার দরকার।তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ডব্লিউএইচও বলছে, উপসর্গযুক্ত রোগীদের চেয়ে উপসর্গহীনদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কম।

নিজেকে রক্ষা করবেন কীভাবে?

করোনাভা’ইরাস থেকে বাঁচতে বারবার সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, ব্যবহার্য জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত রাখা, ভিড়ের মধ্যে গেলে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরাসহ যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।এছাড়া, কারও শরীরে উপসর্গ দেখা দিলে তার কাছ থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখা এবং অপরিষ্কার হাতে চোখ-মুখ স্পর্শ থেকেও বিরত থাকতে বলেছেন গবেষকরা।

সূত্র: আল জাজিরা

J A Suhag

Local News: J A Suhag writes Local News articles for industries that want to see their Google search rankings surge. His articles have appeared in a number of sites. His articles focus on enlightening with informative Services sector needs. he holds the degree of Masters in Business and Marketing. Before he started writing, he experimented with various professions: computer programming, assistant marker, Digital marketing, and others. But his favorite job is writing that he is now doing full-time. Address: 44/8 - North Dhanmondi, Dhaka Email: [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button