এক নারীর ২ স্বামী, মারামারি করে থানায়, এরপর…
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক নববধূকে নিয়ে দুই স্বামীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে ওই তরুণীসহ স্ত্রীর দাবি তোলা দুই যুবককে ধরে থানায় নিয়ে যায়। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারীর নাম রুমানা খাতুন। তিনি উপজেলার হেউটনগর গ্রামের আফিজার রহমানের মেয়ে। তাকে স্ত্রী দাবি করা দুই যুবক হলেন, উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের নবিনগর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে জুয়েল রানা (২৬) ও একই এলাকার বিলচাপড়ি গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কাজল মিয়া (২২)।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে জুয়েল রানার সঙ্গে পারিবারিকভাবে রুমানা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এক মাস সংসার করে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন তিনি। এরপর আর স্বামীর বাড়িতে ফিরে যাননি রুমানা। তবে রুমানাকে বাড়িতে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন জুয়েল।
এমন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলের দিকে রুমানাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে কাজল মিয়ার হাত ধরে বেড়াতে দেখেন জুয়েল। এ সময় রুমানাকে স্ত্রী দাবি করে কাজলকে মারধর করেন জুয়েল। তখন কাজলও জুয়েলকে পাল্টা মারধর করেন। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যান তারা।
রুমানা বলেন, ‘মা-বাবা আমার অমতে দুই মাস আগে জুয়েলের সঙ্গে বিয়ে দেন। কিন্ত জুয়েলকে পছন্দ না হওয়ায় এক মাস আগে আমি নিজেই কাজলকে বিয়ে করেছি। তবে জুয়েল রানার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি (বিবাহবিচ্ছেদ) হয়নি। তারপরও আমি কাজলের সঙ্গে ঘর-সংসার করতে চাই।’
এ বিষয়ে জুয়েল রানা ও কাজল মিয়া জানান, রুমানা খাতুন যা বলছেন তা সঠিক। তবে দুই যুবকও রুমানাকে নিয়ে সংসার করতে চান বলে জানান।
ধুনট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল জাব্বার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় এক নারী ও দুই যুবককে থানা হেফাজত রাখা হয়েছে। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’