এক মসজিদেই নামাজ পড়েন দুই দেশের মানুষ !!
মসজিদ মুসলমানদের ধর্মীয় কার্যাবলীর প্রাণকেন্দ্র। মসজিদের উৎকর্ষের ক্ষেত্রে, সেই সপ্তম শতাব্দির সাদাসিধে খোলা প্রাঙ্গনবিশিষ্ট মসজিদে কাবা বা মসজিদে নববী থেকে বর্তমানে এর প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে। এখন অনেক মসজিদেরই সুবিশাল গম্বুজ, উঁচু মিনার এবং বৃহদাকার প্রাঙ্গন দেখা যায়।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্ট ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে একটি মসজিদ। মসজিদটির একদিকে বাংলাদেশের বাঁশজানি আর অপরদিকে ভারতের ঝাকুয়াটারী গ্রাম। কোন রকম বাধা বিপত্তি ছাড়াই দুই দেশের পাশাপাশি এ দুই গ্রামের মুসলিম অধিবাসীরা যুগ যুগ ধরে প্রতি দিন পাঁচ ওয়াক্ত এবং জুম্মার নামাজ এক সাথে আদায় করছেন।
মসজিদের ইমাম এবং বাঁশজানি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আজানের ধ্বনি শোনার সাথে সাথে দুই দেশের দুই গ্রামে মুসল্লিরা আসেন মসজিদে। একসাথে নামাজ আদায় করেন। তখন তারা ভুলে যান তারা ভিন্ন দুই দেশের নাগরিক। মসজিদ থেকে বের হয়ে কোলাকুলি করেন। নিজেদের মধ্য কুশল বিনিময় করেন। মিলাদ হয় এবং বিতরণ করা হয় সিন্নি। সেই সিন্নি একসাথে বসে খান তারা। শুধু তাই নয়, অসুখে-বিসুখে, বিপদে-আপদে পরস্পরের কাছে ছুটে আসেন তারা।