এখনও ‘অক্ষত’ আছে নরসিংদীতে ১৫০ বছরের পুরনো এই মসজিদ !!
মসজিদ মুসলমানদের ধর্মীয় কার্যাবলীর প্রাণকেন্দ্র। মসজিদের উৎকর্ষের ক্ষেত্রে, সেই সপ্তম শতাব্দির সাদাসিধে খোলা প্রাঙ্গনবিশিষ্ট মসজিদে কাবা বা মসজিদে নববী থেকে বর্তমানে এর প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে। এখন অনেক মসজিদেরই সুবিশাল গম্বুজ, উঁচু মিনার এবং বৃহদাকার প্রাঙ্গন দেখা যায়।
নরসিংদীতে ১৫০ বছরের পুরনো মসজিদ এখনও ‘অক্ষত’ রয়েছে। এটি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার আটকান্দি গ্রামে অবস্থিত। আমিরগঞ্জের মাওলানা আলিম উদ্দিন মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি স্থানীয় জমিদার ছিলেন।
৩৪টি খিলানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। খিলানের ওপরের অংশে কারুকাজ। দুই ফুট পুরু দেয়াল। পাথর বসানো মেঝে। মেহরাবজুড়ে মোজাইক পাথর বসানো। বিভিন্ন ফুলের দৃষ্টিনন্দন কাজ। আঁকা হয়েছে গাছের পাতা। সাদা আর নীল রঙের কারুকাজ চোখ জুড়িয়ে দেয়।
মসজিদের কোনো শিলালিপি না থাকায় সঠিক নির্মাণ তারিখ কেউ বলতে পারে না। স্থানীয় লোকজন বলে, প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো মসজিদ। শতাব্দীপ্রাচীন এ মসজিদটি মোগল স্থাপত্যের আদলে গড়া। সুদূর মহীশূর থেকে কারিগর এনে নির্মাণ করেন।
মসজিদ প্রসঙ্গে স্থানীয় আব্দুল লতিফ (৭০) বলেন, মাওলানা আলিম উদ্দিন ছিলেন দেওবন্দ পাস আলেম। বগুড়ার নবাবের মেয়ে বিয়ে করে এলাকায় চলে আসেন। দাদার কাছ থেকে শুনেছি, দেড় শ বছরের পুরনো এই মসজিদ।’ নরসিংদীর শিকড়সন্ধানী লেখক সরকার আবুল কালাম ‘কিংবদন্তির নরসিংদী’ গ্রন্থে লেখেন—আটকান্দি মসজিদটি নির্মাণ করেন মাওলানা আলিম উদ্দিন।
একসময় ঢাকার নবাববাড়ির (পূর্বে খাজা বাড়ি) মাদরাসা ও পরে চিঠি লেখা ও উত্তর প্রদানের দায়িত্ব পান। নবাবদের অত্যাচার, জুলুম ও ট্যাক্স প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের লক্ষ্যে কৌশলে বিয়ে করেন বগুড়ার নবাববাড়ির মেয়েকে। মাওলানা তাঁর গিন্নিকে নিয়ে চলে আসেন নিজ এলাকায়। প্রতিষ্ঠা করেন মসজিদ।