এবার যাদের জন্য বন্ধ হচ্ছে সৌদি আরবের শ্রমবাজার !!
সাত দশকের আধুনিক দাস প্রথা কাফালা বিলুপ্তির পর সৌদি আরব কর্মদক্ষহীন পেশাজীবীদের ছাঁটাইয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে।চলতি বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নতুন আইনে দেশটিতে প্রফেশনাল ভিসায় কাজ করা অভিবাসীদের কর্ম-দক্ষতার পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। যারা যেতে চান তাদেরও পরীক্ষা দিতে হবে।
আর এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল সৌদিতে কাজ করা যাবে। অন্যথায় তাদের সৌদি আরব ছাড়তে হবে। চিকিত্সক, নার্স, শিক্ষক, প্রকৌশলী, হিসাবরক্ষকসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক পেশায় নিয়োজিতদের পেশাগত দক্ষতার পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে পাঁচটি ভাষায়। যে কোনো একটিতে বাছাই পরীক্ষা দিতে হবে।
পাঁচটি ভাষা হলো আরবি, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু ও ফিলিপিনো। আইনটি প্রণয়নের পর পরই সৌদির পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার দূতাবাসগুলো তাদের দেশের নাগরিকদের পেশাগত দক্ষতার মান উন্নীত করা এবং প্রফেশনাল টেস্টে সফল হওয়ার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে বলে বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে।সৌদি প্রেস এজেন্সি ও আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরব সরকারের ’ভিশন ২০৩০’ অনুযায়ী দেশটির শ্রমবাজারে ৭০ শতাংশ সৌদি আরবের নাগরিককে যুক্ত করার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে।
সে কারণে অদক্ষ শ্রমিক ছাঁটাই করে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে কর্মরত অধিকাংশ বাংলাদেশি শ্রমিক অদক্ষ ও স্বল্প দক্ষ। আগামী জুলাই থেকে পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘পেশাদার যাচাইকরণ’। সব পেশাজীবীর ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক। উৎস; ইত্তেফাক