এলো স্বয়ংক্রিয় করোনা প্রতিরোধক স্প্রেয়ার মেশিন !!
করোনাভা’ইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে শরীরকে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কারের বিকল্প নেই। জরুরি প্রয়োজনে মানুষকে বাসা থেকে বের হতে হয়। বাসায় বা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সময় সারা শরীর বিশেষ করে শরীরের যেসব অঙ্গ মানুষের সংস্পর্শে আসে সেসব অংশ পরিষ্কার করা উচিত। স্বয়ংক্রিয় মেশিনে যদি এই স্প্রেয়ার ব্যবহার করা যায় তবে সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
ট্যাসলক নিয়ে এলো এমন একটি স্বয়ংক্রিয় মেশিন যা বাসা বা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের মুখে স্থাপন করে মানুষ প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ডিভাইসটির নাম অটোমেটিক অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ার। ডিভাইসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে পারে।
অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ারের উদ্ভাবক ও ট্যাসলকের কর্ণধার রাদবী রেজা বলেন, করোনা ভা’ইরাস সারা পৃথিবীতে আতঙ্কের নাম। সামাজিক দুরত্ব এবং জীবাণুনাশক দিয়ে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান হাতিয়ার। আমি যে ডিভাইসটি উদ্ভাবন করেছি সেটি বাসা, অফিস, বাজার, মসজিদের প্রবেশ বা বাহিরের পথে স্থাপন করা যাবে। যেকেউ এই পথে ঢুকলে, বের হলে সেন্সরের মাধ্যমে ডিভাইসটি চালু হবে। যতক্ষণ মানুষটি যন্ত্রটির মধ্যে থাকবে ততক্ষণ স্প্রেয়ারটি জীবাণুনাশক (ব্লিচ বা স্যানিটাইজার) ছেটাতে থাকবে।
অটোমেটিক অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ার সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ডিভাইসটি চালু বা বন্ধ করার কোন ঝামেলা নেই। এর মধ্যে সেন্সর রয়েছে। ফলে মানুষ প্রবেশ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি চালু হয়ে যাবে। আবার মানুষ সরে গেলেই এটি বন্ধ হয়ে যাবে। যে স্প্রেয়ারটি এই ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে সেটি এত নিখুঁতভাবে স্প্রে করতে পারে যে এতে ভিজে যাওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। সহজে বহন করা যায় বলে যেকোন স্থানে এই ডিভাইসটিকে স্থাপন করে ব্যবহার করা যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলেও ১২ ভোল্টের ব্যাটারি দিয়েও এই ডিভাইসকে চালু করে ব্যবহার করা যাবে।
এই ডিভাইসে বিদ্যুৎ খরচ সামান্য। তাই বিল বাড়বে এমন আশঙ্কাও নেই। তাছাড়া এই ডিভাইসটি শুধুমাত্র মানুষ চলাচলের সময় সক্রিয় হয়। অন্যসময় বন্ধ থাকে। তাই সব সময় বিদ্যুৎ খরচ হয় না। শুধু হাত নয়, মানুষের সারা শরীর এমনকি জুতাও এই স্প্রেয়ারের মাধ্যমে জীবাণুনাশক করা সম্ভব। মোটকথা, অটোমেটিক অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ার ৩৬০ ডিগ্রি রোটেশনে পুরো শরীর জীবাণুমুক্ত করতে পারে। ইতোমধ্যে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে ডিভাইসটির কার্যকারিতা সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।অটোমেটিক অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ার ব্যবহার করার সময় বিশেষ সতর্কতার জন্য চোখ এবং মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডিভাইসটির উদ্ভাবক রাদবী রেজা।
তিনি বলেন, বাসা বা কর্মস্থলের প্রবেশদ্বারে ঝুলিয়ে বা কোন স্ট্যান্ডে রেখেও এই ডিভাইসটি ব্যবহার করা যাবে। মাত্র ১০ সেকেন্ডেই পুরো শরীরে এই স্প্রেয়ার দ্বারা স্যনিটারাইজ করা যাবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০টি ডিভাইস বিক্রি হয়েছে।শতভাগ রাসায়নিক মুক্ত এই ডিভাইসটির মূল্য ৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। রাজধানীতে বিনামূল্যে হোম ডেলিভারি সেবা মিলবে। অগ্রিম ফরমায়েশে ঢাকার বাইরেও এই ডিভাইসটি কুরিয়ার করে পাঠানো হবে।