এসএসসি তিনমাস ও এইচএসসির চারমাস ক্লাস নিয়ে পরীক্ষা – শিক্ষামন্ত্রী !!
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্বে প্রথম টেলিভিশনে পাঠদান বাংলাদেশে শুরু হয়েছে জানিয়ে ‘এবারের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফেব্রুয়ারির কোন এক সময় যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারি, তাহলে এসএসসিদের তিনমাস এবং এইচএসসিদের চারমাস ক্লাস নিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে এনসিটিবি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। আমরা শিগগিরই সেগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো শুরু করবো।’
আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে এইচএসসি অটোপাস সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলছেন। গণমাধ্যমেও জরিপ প্রকাশ হয়েছে, শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফিরতে চান। তবে আমাদের কাছেও এ বিষয়ে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের মেসেজ আসছে। সেখানে কিন্তু ভিন্ন কথা আসছে। অনেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষাও দিতে চায় না।’
এর আগের আলোচনায় ডা. দীপু মনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন অটোপাস দিলে মেধাবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেটা ঠিক নয়। কারণ একজন শিক্ষার্থী এইচএসসিতে হঠাৎ ভালো ফলাফল করবেন তা বলা যাবে না। বরং অতীতে দেখা গেছে, এইচএসসির তুলনায় এসএসসিতে তুলনামূলক ভালো ফলাফল হয়। সুতরাং শুধু মেধাবী নয়, কেউই অটোপাসে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আগের পরীক্ষাগুলোতে মেধাবীরা মেধার স্বাক্ষর রেখেই এসেছেন। আমরা জেএসসি ও এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সুতরাং এতে কারোরই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।’
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘করোনার কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পরীক্ষার্থীরা পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। একেবারে আগ মুহূর্তে পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে। এটি হঠাৎ করে করা হয়নি, চিন্তাভাবনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বার বার বিষয়টি দেখেছেন। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’এর আগে জাতীয় সংসদে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ সংক্রান্ত বিল পাস হয়েছে। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) সংসদ সদস্যদের সম্মতিক্রমে বিলটি পাস করা হয়।
এর আগে সংসদ অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি স্থায়ী কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত ইন্টারমিডিয়েট এন্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন এমিডমেন্ট বিল পাসের প্রস্তাব করেন। উত্থাপিত বিলের উপর সংসদ সদস্যদের মতামত চান স্পিকার শিরিন শারমিন। সেখানে কণ্ঠ ভোটের মাধ্যমে অধিকাংশ সদস্য বিলটি পাসের পক্ষে মত দেন। এর আগে জাতীয় সংসদে এইচএসসি অটোপাসের বিলের খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা।
সেখানে বিএনপির কয়েকজন সংসদস সদস্য বিলটিতে কয়েকটি সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেন। অটোপাসের মাধ্যমে ফল দেয়ার জনমত জরিপ রার প্রস্তাবও করা হয়। তবে কণ্ঠ ভোটে তাদের প্রস্তাবনার বিপক্ষে ভোট দেন অধিকাংশ সংসদ সদস্য।পরে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন বিলটি পাসের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করতে বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে, বিলটি পাসের জন্য কণ্ঠ ভোটের আয়োজন করেন স্পিকার শিরিন শারমিন।