ওসি প্রদীপ আমার মেয়েকে থানায় আটকে রেখে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করে!
আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মেজর (অব।) সিনহা ড। রাশেদ খান হত্যা মামলার পঞ্চম পর্বের প্রথম দিন বেবি বেগমের আংশিক অসমাপ্ত জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। নির্ধারিত পঞ্চম দফার প্রথম দিনে আরও ৬ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০:১৫ কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ। ইসমাইলের আদালতে বিশতম সাক্ষী বেবী বেগমকে আসামির আইনজীবীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং পঞ্চম বিচার শুরু হয়। সাক্ষ্য চলতে থাকে বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত। এর আগে, মামলার ১৫ জন আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে সকাল ৯ টায় কড়া পুলিশি পাহারায় একটি কারাগার ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়।
সেই সময় বেবি বেগম আদালতকে বলেন যে ওসি প্রদীপ এবং তার বাহিনী ২০২০ সালে আমার কিশোরী মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
এরপর ওসি প্রদীপ আমার মেয়েকে টেকনাফ থানার দ্বিতীয় তলায় আটকে রাখার পর ধর্ষণ করে। সেই সময়ের পরে, মেয়েটি বাড়ি ফিরে আসে এবং বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
সে সময় প্রশাসন ওসি প্রদীপের পক্ষে ছিল বলে কোনো মামলা দায়ের করার সাহস পায়নি দাবি করে বেবী বেগম বলেন, মেজর সিনহার হত্যা মামলার পর ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করার সাহস পেয়েছিলেন।
এদিকে, রাষ্ট্রীয় অ্যাটর্নি এড। ফরিদুল আলম বলেন, প্রসিকিউশন ১০ অক্টোবর সকালে আদালতে নয়জন সাক্ষীকে হাজির করেছে।