ওড়না নি’ষিদ্ধ – যা বললেন স্কুলের অধ্যক্ষ !
ভর্তিতে অনিয়ম, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা কারণে আলোচনায় থাকা মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজকে নিয়ে এবার নতুন ইস্যুতে সমালোচনা হচ্ছে। স্কুল পর্যায়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের ড্রেস কোড পরিবর্তনের প্রতিবাদে এবার আন্দোলন করছেন প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা। হঠাৎ করে চলতি বছরের শুরু থেকে ছাত্রীদের ওড়না এবং টুপি পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে শিক্ষার্থীরাও।
নতুন এই সিদ্ধান্ত আসার পর থেকে এর প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করছেন মতিঝিল ও বনশ্রী শাখার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির বনশ্রী ক্যাম্পাসের সামনে কয়েকশ অভিভাবকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিল ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ হয়েছে।
তোফাজ্জল হোসেন নামের এক অভিভাবক জানান, ওড়না, স্কার্ফ ও ছেলেদের টুপি নিয়ে যেহেতু অভিভাবকদের কোনো অভিযোগ নেই, সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কেন এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিল। এটা যদি করতেই হতো তাহলে অভিভাবকদের সঙ্গে বসতে পারত। পরামর্শ নিতে পারত, কিন্তু কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠান এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে ওড়না, স্কার্ফ ও ছেলেদের টুপি ব্যবহারের যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা তুলে নেয়া হোক।
অন্য অভিভাবকরা বলছেন, আগে মেয়েদের ড্রেসকোডে মাথায় স্কার্ফ বা ওড়না ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও নতুন প্রণীত ড্রেসকোডে সেখানে স্কার্ফ বা ওড়না ব্যবহার নি’ষিদ্ধ করা হয়েছে। আর ছেলেদের মাথায় টুপি ব্যবহারকেও অঘোষিতভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, শিক্ষকদের মধ্যেও আগে যারা পাঞ্জাবি পড়ে স্কুলে আসতেন তাদেরকে এখন পাঞ্জাবি পড়তে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কেউ পাঞ্জাবি পরলেও পাঞ্জাবির উপরে আলাদাভাবে কটি পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন, ছাত্রীদের ড্রেসের মধ্যে সৌন্দর্য বাড়াতে বাড়তি ওড়না নি’ষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গভর্নিং বডি। প্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীসহ হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মের ছাত্রীরা পড়ে। তাছাড়া সবাই ওড়না পরে না। তাই ওড়নার পরিবর্তে হিজাব রাখা হয়েছে। কেউ চাইলে তা পরবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হিজাবেও শরীর ঢাকা যায়, এ জন্য ওড়না জরুরি না। তারপরও কেউ চাইলে পরবে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামানের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। সরকারের এই অতিরিক্ত সচিব বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যক্ষের যত যুক্তি