কঠোর অবস্থানে পুলিশ – ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সব গণপরিবহন চলাচল বন্ধ !!

প্রা’ণঘা’তী করোনা ভা’ইরাস নিয়ন্ত্রণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত কর‍তে এবার কঠোর অবস্থানে নেমেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। এ কারণে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ মঙ্গলবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকামুখী ও ঢাকা থেকে বহির্গমনে যানবাহনের চাপ অনেকটাই কম। ঢাকামুখী বিপুল সংখ্যক প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেঘনাঘাট, মোগড়াপাড়া, বন্দরের মদনপুর, সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় ও সাইনবোর্ড এলাকাসহ আটটি চেকপোস্ট বসিয়ে জেলা পুলিশ এ তৎপরতা শুরু করেছে।এ সময় লকডাউনের আওতামুক্ত মহাসড়কে চলাচলকারী অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া চলাচলে নিষিদ্ধ করা কয়েক হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি পুলিশ থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেয়। এসব ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি ও মোটরসাইকেলগুলো নানা অজুহাতে মহাসড়কে বের হয়েছিল।

ব্যক্তিগত এ পরিবহনগুলোর যাত্রীরা ঢাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেছেন এবং কেউ কেউ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঢাকায় প্রবেশ বা বাহির হওয়ার জন্য যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম জানান, করোনা ভা’ইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেউ যাতে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঢাকায় প্রবেশ বা ঢাকা থেকে বের হতে না পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মহাসড়কে পাঁচটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।তিনি জানান, যৌক্তিক কারণ ছাড়া নানা অজুহাতে যেসব গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করছে তাদের ঘুরিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম আরও জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ঘাট, লাঙ্গলবন্দ, মদনপুর, কাঁচপুর, সাইনবোর্ড, শিমরাইলসহ নারায়ণগঞ্জ অংশে আটটি চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকার প্রবেশ ও বাহিরের বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে সরকারি নির্দেশনার বাইরে যাতে কোনো ব্যক্তিগত যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ ও বের হতে না পারে সে বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে।

করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিনই সাধারণ মানুষ কারোনায় আ’ক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় যদি যানবাহনগুলোকে ঢাকার বাইরে ও নতুন করে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়া হয় তবে করোনা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনার ভয়াবহতা রোধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে।

তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত কমপক্ষে দুই তিন হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আপাতত ৩০ মে পর্যন্ত সরকারি আওতার বাইরে বাইরে নিষিদ্ধ করা কোনো গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ এবং ঢাকা থেকে বের হতে দেয়া হবে না। পরবর্তীতে সময় বাড়ানো হলে সেই অনুযায়ী পুলিশ কাজ করবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *