করোনার কারণে ছড়িয়ে পড়তে পারে আরেক ম’হামা’রি !!
ম’হামা’রি করোনাভা’ইরাসের তাণ্ডবে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ব। জীবনঘা’তি এই ভা’ইরাসটি প্রতিনিয়ত বয়ে আনছে নতুন নতুন দুঃসংবাদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই করোনাভা’ইরাসের জের ধরেই আরও একটি ভ’য়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে মানুষ। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিষেধক বা টিকা দেওয়ায় বিলম্ব হওয়ায় শিশুদের মধ্যে হাম ম’হামা’রি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, চলতি বছরে ৩৭টি দেশের ১১ কোটি ৭০ লাখ শিশু করোনাভা’ইরাসের কারণে সময় মতো হামের প্রতিষেধক পাবে না।হাম হলে শরীরে জ্বর, কাশি ও র্যাশের উপসর্গ দেখা দেয়। এর প্রতিষেধক হিসেবে “এমএমআর” ভ্যাক্সিনের দুই ডোজ দেওয়া হয়। ভ্যাক্সিনটি হাম ছাড়াও মাম্পস ও রুবেলার প্রতিষেধক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
“এমএমআর” ভ্যাক্সিন প্রদানের হার যেসব দেশে কম, ইউরোপের সেসব দেশে হামের প্রাদুর্ভাব ভ’য়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যকে সরকার “হাম মুক্ত” ঘোষণার পর আবার দেশটিতে নতুন করে রোগটির সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। হামের টিকা যুক্তরাজ্যে শিশুদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) হিসাব অনুযায়ী, সারা বিশ্বে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের ৯৫ শতাংশ হামের দুটি টিকার প্রথমটি পেলেও, দ্বিতীয় টিকাটি পেয়েছে ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ। সাধারণ হিসাবে এটি চোখে পড়ার মতো না হলেও, হাম খুবই বেশি মাত্রায় সংক্রামক। তাই সামান্য কম মাত্রায় প্রতিষেধক প্রদানও ভ’য়াবহ ফল বয়ে আনতে পারে।
ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, যেসব দেশে বর্তমানে হামের কোনো সংক্রমণ নেই সেসব দেশ আপাতত হামের টিকা কার্যক্রম বন্ধ রাখায় সমস্যা না হলেও, ঝুঁকিপূর্ণ ২৪টি দেশ করোনাভা’ইরাস সংক্রমণের কারণে হামের টিকাদানের কর্মসূচী পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশ, ব্রাজিল, বলিভিয়া, কম্বোডিয়া, চাদ, চিলি, কলম্বিয়া, জিবুতি, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, হন্ডুরাস, কাজাখস্তান, কিরগিস্তান, লেবানন, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, নেপাল, নাইজেরিয়া, প্যারাগুয়ে, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইউক্রেন ও উজবেকিস্তান। এই তালিকা আরও বড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ডাব্লিউএইচও।