করোনায় আ’ক্রান্ত এক গার্মেন্টকর্মী দম্পতি উধাও !!
প্রা’ণঘা’তী করোনা ভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত এক গার্মেন্টকর্মী দম্পতি উধাও হয়েছেন। তবে তাদের আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যে হন্য হয়ে খুঁজছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরহাটে।এদিকে জয়পুরহাটে নতুন করে তিন নারীসহ চার জনের শরীরে করোনাভা’ইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আ’ক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ জন। বুধবার রাতে সিভিল সার্জন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সর্বশেষ শনাক্ত হওয়া চারজনকে চিকিৎসার জন্য আক্কেলপুরের গোপীনাথপুর আইসোলেশন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা আ’ক্রান্ত এক গার্মেন্টকর্মী স্ত্রীসহ পালিয়ে গেছেন।গতকাল বুধবার আ’ক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফসহ পৌর এলাকার দুজন নারী, আক্কেলপুর উপজেলার এক নারী গার্মেন্টকর্মী ও জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নে শ্বশুর বাড়িতে থাকা এক গার্মেন্টকর্মী।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা জানান, কয়েকদিন আগে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নৈশ প্রহরী করোনা আ’ক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। তিনি বাড়িতে আসা গার্মেন্টকর্মী বোন ও ভগ্নিপতির সংস্পর্শে করোনায় আ’ক্রান্ত হন। তার বাড়ির লোকজনসহ হাসপাতালের স্টাফদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সর্বশেষ পাওয়া প্রতিবেদনে নৈশ প্রহরীর মা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাষ্টার রোলে কাজ করা এক নারীর শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
এছাড়া আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের এক নারী গার্মেন্টকর্মীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করা এক গার্মেন্টকর্মীর নমুনাতেও করোনা শনাক্ত হয়েছে।নওগাঁর ধামুরহাট থেকে আসা এ গার্মেন্টকর্মী করোনা আ’ক্রান্তের তথ্য জেনে স্ত্রীসহ পালিয়ে গেছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা দোগাছী ইউনিয়নে গেলে সেখানে গার্মেন্টকর্মী যুবককে পাওয়া যায়নি। তাকে খোঁজা হচ্ছে বলে জানান জয়পুরহাট থানা পুলিশ।