করোনায় মৃতদের দাফন-সৎকারে আল-রশীদ ফাউন্ডেশন !!
সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় দেশে করোনাভা’ইরাসে মৃত্যুবরণকারীদের দাফনের দায়িত্ব নিতে ভয় পাচ্ছে অনেক পরিবার-পরিজনের সদস্যরা।শুধু তাই নয়, হাসপাতালে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। বাধ্য হয়ে জানাজা, দাফন-কাফনের দায়িত্ব নিয়ে হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের।
এমনই কঠিন পরিস্থিতিতে করোনায় মৃতদের মরদেহ দাফন বা সৎকারে এগিয়ে এসেছেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।অর্থনৈতিক মন্দাভাবের এই দুঃসময়ে তিনি গড়ে তুলেছেন করোনা আ’ক্রান্ত রোগীদের পরিবহন ও মরদেহ দাফনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আল-রশীদ ফাউন্ডেশন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত এই ফাউন্ডেশনে নিজ অর্থায়নে একটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী পরিবহনের দুটি অ্যাম্বুলেন্স কিনেছেন। তৈরি করেছেন ৩০ সদস্যের একদল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ আলেম ও স্বেচ্ছাসেবক দল। যারা খবর পাওয়া মাত্রই মৃতদেহের দাফনে বা সৎকারে এগিয়ে যাচ্ছেন।গত ২২ মে থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি এ পর্যন্ত ১৪টি মৃতদেহ সৎকার করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও হাব সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম।
তিনি মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, করোনায় আ’ক্রান্তদের খাবার, ওষুধ, চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছেন অনেকে। কিন্তু করোনায় মৃতদের লা’শ দাফনের জন্য তেমন কেউ এগিয়ে আসছে না। লা’শ ফেলে রেখে সন্তানও পালিয়ে যাচ্ছে এমন ঘটনাও ঘটছে। অথচ এই কাজটি অবশ্যই কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এটি ‘ফরজে কেফায়া’। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা এ কাজটি করার দায়িত্ব নিতে গঠন করেছি আল-রশীদ ফাউন্ডেশন। সরকারি সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমোদন নিয়ে ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবীর সমন্বয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছি। প্রতিদিন ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবীরা।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি আমার বাবা মরহুম প্রিন্সিপাল মাওলানা রশীদ আহমদের নামে গড়ে তুলেছি। তিনি একজন প্রখ্যাত আলেম, লেখক, গবেষক ও ইসলামিক স্কলার ছিলেন।আল-রশীদ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুধু রাজধানী ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকার বাইরেও করোনারোগী পরিবহন এবং মৃতদেহ দাফন ও সৎকারের জন্য ছুটে যাচ্ছেন তারা। মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মের মরদেহ হাসপাতাল থেকে শ্মশান বা সৎকারের স্থানে পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।