করোনায় মৃ’ত ব্যক্তিদের দাফনের জন্য জমি দিলেন পুলিশ কর্মকর্তা !!
প্রা’ণঘা’তী করোনা ভা’ইরাসে মৃ’ত ব্যক্তির দাফনে জমি দেয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশে এক কর্মকর্তা। দেশে করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে দিনে দিনে বাড়ছে আ’ক্রান্ত ও মৃ’ত্যুর সংখ্যা, সঙ্গে নতুন নতুন ঘটনাও ঘটছে।
এদিকে করোনা বা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেলে দাফনে বাধা দেয়া হচ্ছে। কোথাও আবার স্বজনরাও জানাজায় হাজির হচ্ছেন না। মারা যাওয়া ব্যক্তিকে বহন করতে খাটিয়া দেয়া হচ্ছে না এমন খবরও গণমাধ্যমে উঠে এসছে। তবে এমন অবস্থার মধ্যে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তি কোথাও বাধা পেলে দাফন করতে নিজের জমি দেয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশের সিআইডিতে সিনিয়র এএসপি মো. এনায়েত করিম রাসেল।
এদিকে নিজের এলাকা মানিকগঞ্জে এ জমি দেবেন বলে জানান তিনি। জমিটি নিজেদের পাশাপাশি বেওয়ারিশ মরদেহ দাফনের জন্য এক বছর আগে এনায়েত করিম কিনেছিলেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ পুলিশের উধর্র্তন কর্মকর্তাদেরও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে একবছর আগে কেনা দশ শতাংশ জমিতে শুধু মানিকগঞ্জ বা আশপাশের এলাকাই নয়, দেশের কোথাও কেউ করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় দাফনে বাধা পেলে তাকে এখানে সমাহিত করা যাবে। করোনায় মারা যাওয়া মানুষের দাফনের জন্য নিজের এমন উদ্যোগের কথা প্রকাশ্যেই জানান তিনি।
এদিকে এনায়েত করিম রাসেল নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে বলেন, মানিকগঞ্জে বাসা/ মানিকগঞ্জে বাসা কিন্তু বসবাস অন্য জায়গায় বা বাংলাদেশের যে কেউ আল্লাহ না করুক করোনা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেলে বিনা সংকোচে এখানে নিয়ে আসুন। গংগাধরপট্টি চকে উত্তর-পূর্ব কোণে নওখন্ডা আমাদের কবরস্থানে তাকে দাফন করা যাবে। আশপাশে কোনো জনবসতিও নেই। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এখানে কবর দেয়া সবার জন্য উন্মুক্ত।
তাছাড়া মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক অথবা মেয়রের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। পাশাপাশি নিজের মোবাইল নম্বর (০১৭৩০৩৩৬২২৩), ও তিন বন্ধু ডিএফএম লোটাস (০১৭৭৭৩০৫০১৬), ও শুভ (০১৭১২২৯২৯২২), মোস্তফা (০১৭১২৫৫৭০৮৬) যে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেছেন এনায়েত রাসেল।
এই উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা এনায়েত করিম রাসেল বলেন, গতবছর জমিটা কেনা হয়েছে। যেখানে বেওয়ারিশ লাশ দাফন করতে পারবে এমন চিন্তা ছিল। কিন্তু করোনার আক্রমণের পর দেখতে পাচ্ছি অনেক জায়গায় মরদেহ দাফন করতে দেয়া হচ্ছে না। এটা দেখে খুব কষ্ট লাগলো। পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখানে চাইলে যে কেউ করোনার রোগী বা বেওয়ারিশ মরদেহ দাফন করতে পারবেন।