করোনায় সুস্থ হলেন গোপালগঞ্জের ১০০ বছর বয়সী নারী !!
করোনাভা’ইরাস সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯-এ বয়স্কদের মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি হলেও গোপালগঞ্জের শতবর্ষী নারী খবিরুন্নেসা (১০১) সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন। তিনি সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলীয়া গ্রামের মৃত আলতাফ ভূইয়ার স্ত্রী।
চিকিৎসা শেষে রাজধানী থেকে গত বুধবার (৩ জুন) গোপালগঞ্জের বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে খবিরুন্নেসাকে।স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই স্কিন ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আ’ক্রান্ত খবিরুন্নেসা। ২০ বছর আগে তার স্বামী মারা যান। বছর দু’য়েক আগে মারা গেছেন বড় ২ সন্তানও।
তার দেখভাল করেন মেয়েরা। চিকিৎসার জন্য গত মাসের শুরুতে তিনি রাজধানীর উত্তরায় মেয়ের বাসায় যান। ১৩ মে তার মেয়ে সেলিনা জাকির (৪৮) ও নাতি তামিমের করোনাভা’ইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাদেরকে ভর্তি করা হয় উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে।আ’ক্রান্ত স্বজনদের সংস্পর্শে এসে শতবর্ষী খবিরুন্নেসাও সংক্রমিত হন। গত ১৯ মে পাওয়া রিপোর্টে বিষয়টি ধরা পড়ে। পরদিন তাকেও রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে খবিরুন্নেসার মেয়ে সেলিনা জাকির বলেন, “মাসহ আমরা ৪ জন করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত হয়েছিলাম। মা’কে হৃদরোগের কারণে রিং পড়ানো হয়েছিল। একবার পিত্তথলির পাথর অপারেশন করা হয়েছে। এছাড়া তার আছে স্কিন ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস। এত রোগে জর্জরিত থাকার পরেও আমার মা করোনাভা’ইরাস জয় করেছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন এটি একটি বিরল ঘটনা। গ্রামের লোকজন বলছেন, মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় তিনি ফিরে এসেছেন।”
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, “করোনাভা’ইরাসের একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু আ’ক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যাটাও বাড়ছে। তাই আতঙ্ক নয়, সাবধানে থাকুন। সুস্থ থাকুন। বিধিনিষেধ মেনে চলুন।”শতবর্ষী খবিরুন্নেসার সুস্থ হওয়ার ঘটনা স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।