করোনা চিকিৎসায় বড় সাফল্য, দেশে আশার আলো !!
প্রা’ণঘা’তি করোনাভা’ইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বের নানা দেশে। তবে এখন পর্যন্ত কোনোটাই কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি। এ অবস্থায় নানা দেশে বিকল্প ওষুধ ব্যবহারে চলছে কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা। এবার বাংলাদেশেরই এক দল চিকিৎসক করোনা চিকিৎসায় পুরনো দুই ওষুধের যৌথ প্রয়োগে সাফল্য পেয়েছেন। যা কেবল দেশকেই নয়, পুরো বিশ্বকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।বেসরকারি মালিকানাধীন বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারেক আলম তার একজন সহযোগী চিকিৎসককে নিয়ে প্রায় দেড় মাসের গবেষণায় করোনাভা’ইরাসের চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছেন।
করোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিপ্রোটোজোয়াল মেডিসিন ইভারমেকটিনের সিঙ্গল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগে করে মাত্র তিন দিনে ৫০ শতাংশ লক্ষণ কমে যাওয়া আর চার দিনে করোনা টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ আসার বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ডা. তারেক আলম।
ইভারমেকটিন একটি পরজীবীনাশক ওষুধ। এই ওষুধটি সংক্রমক ব্যাধি যক্ষা, ডেঙ্গ, ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে রুদ্ধে কার্যকারিতা দেখিয়েছে। ইভারমেকটিন ওষুধ রোগীর দেহে ভা’ইরাসের বিস্তার বন্ধ করে দিতে সক্ষম।এ প্রসঙ্গে ডা. তারেক আলম বলেন. এটি আমাদের কাছে রীতিমতো বিস্ময়কর লেগেছে। আরো আগে যদি আমরা ইই ওষুধ নিয়ে কাজ করতাম, হয়তো তাতে কিছু মৃত্যু কম হত।
তিনি বলেন, ইভারমেকটিনের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন এর আগেও সার্স ভা’ইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত করেই বলছি, এই ওষুধ দুটির সম্মিলিত ব্যবহারে করোনাভা’ইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্য দুটি ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও রেমডিসিভিরের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর ফল পাওয়া যাবে।
ডা. তারেক জানান, আমরা বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬০ জন রোগীর ওপর গবেষণা করেছি। তাতে আমরা এই সাফল্য পেয়েছি। আমাদের গবেষণার আওতায় ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ওষুধ দুটির সফল স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও এই ওষুধ নিয়ে ভারতেও গবেষণা শুরু হয়েছে।সম্মান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই গবেষণায় অধ্যাপক ডা. তারেক আলমের সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ডা. রুবাইয়ুল মোরশেদসহ অন্যরা সহযোগিতা করছেন।
সূত্র-বিডি২৪রিপোর্ট