করোনা ম’হামারী মোকাবেলায় বৈশ্বিক চুক্তি চান বিশ্বনেতারা !!
করোনা ম’হামারীর জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিল না বিশ্ব। তাই করোনা যখন দ্রুত ছড়াতে শুরু করল, তখন সব দেশকেই দিশেহারা লেগেছে। সরকারের যেমন প্রস্তুতি ছিল না, তেমনই মানুষের দূরতম ভাবনাতেও ছিল না, এমন পরিস্থিতি আসতে পারে। তার ফলে প্রায় প্রতিটি দেশ করোনা সামলাতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
এরকম পরিস্থিতি ভবিষ্যতে যাতে আর না হয়, তার জন্য প্রস্তুত থাকতে চাইছেন অনেক দেশের প্রধান। ২৩টি দেশের নেতা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইইউ চাইছে, এই প্রস্তুতির জন্য একটা নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তি হোক। বিশ্বের প্রধান সংবাদপত্রগুলোতে এদিন একটি উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে জার্মানির চ্যান্সেলার ম্যার্কেল, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ, দক্ষিণ কোরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপ্রধানরা সই করেছেন। তাতেই এই চুক্তির কথা বলা হয়েছে।
উত্তর সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘আমরা মনে করি, অতিমারী নিয়ে প্রস্তুত থাকতে এবং তার মোকাবিলা করতে একটা নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তির জন্য দেশগুলোর কাজ করা উচিত। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে যদি অতিমারী নিয়ে প্রস্তুতি থাকে, তাহলে তা অনেক ভালোভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’এই আইডিয়াটা প্রথমে দেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট। তিনি গত নভেম্বরে জি২০ বৈঠকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
করোনা একটা জিনিস বুঝিয়ে দিয়েছে, অতিমারীর মোকাবিলা করতে গেলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা খুবই জরুরি। করোনার ফলে বিশ্বের অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। করোনার মোকাবিলায় নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে। তাই আন্তর্জাতিক চুক্তি দরকার বলে মনে করছেন অনেক বিশ্বনেতাই। চুক্তি হলে ভ্যাকসিন, ওষুধ, রোগ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে বিশ্ব জুড়ে দেশগুলো সহযোগিতা করবে। সকলে সমান সুযোগ পাবে।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে অতিমারী বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতি আসবে, সেই বিপদকে কোনো একটি সরকার বা কিছু এজেন্সি মিলে মোকাবিলা করতে পারবে না।তবে অ্যামেরিকা, রাশিয়া, চীন ও জাপানের রাষ্ট্রনেতাদের সই এই নিবন্ধে নেই। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোনো চুক্তি তখনই সফল হতে পারে, যখন তার পথে কোনো রাজনৈতিক বিরোধ না আসে।
করোনার সময় দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রধান ও নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ধনী দেশগুলো বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন কিনে নিয়েছে। ফলে গরিব দেশগুলো ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে ইইউ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।তবে এই নিবন্ধে ইইউ এবং যুক্তরাজ্যের সরকার প্রধানরা সই করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘কোভিড ১৯ আমাদের দুর্বলতা ও বিভাজনের সুবিধা পেয়েছে। আমরা এই অতিমারী রুখতে এক হয়ে শান্তিপূর্ণ সহযোগিতা করতে পারিনি।