কাঠগড়ায় ওসি প্রদীপের ৪৫ মিনিট ফোনালাপ! ৪ পুলিশ প্রত্যাহার
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার শুনানির সময় চাকরিচ্যুত ওসির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগে কাঠগড়ে কর্তব্যরত চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ পিপি ফরিদুল আলম চৌধুরী তাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আদালতের কার্যক্রম চলাকালীন প্রদীপের মোবাইল ফোনে কথা বলা আইনের পরিপন্থী। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবং এসআই সাহাবুদ্দিনসহ চারজন পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ঘটনায় আদালত ওসি প্রদীপকে সতর্ক করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার, প্রদীপ তার মোবাইল ফোনে আদালতের বেঞ্চে বসে কথা বলার একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল।
সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনে প্রদীপসহ ১৫ জন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছিল। প্রদীপের পরনে ছিল কালো শার্ট। ভাইরাল ছবিতে কথা বলতে দেখা লোকটিও কালো শার্ট পরে ছিল।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলেও ছবিটি প্রচারিত হয়েছিল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বেড়ার ভিতরে একজন লোক হাঁটু গেড়ে বসে আছে। সে তার মোবাইলে কারো সাথে কথা বলছে। তার মাথার চুল ছোট। কয়েকজন লোক তার চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট), সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিন, প্রদীপ গোলাপী পোশাক পরে আদালতে আসেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ফেলে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রদীপ কাঠগড়ে একটি মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। তাকে দীর্ঘ সময় ফোনে ব্যস্ত রাখা যায়। তিনি হয়তো কয়েকজনের সাথে কথা বলেছেন। প্রদীপকে কথা বলার জন্য একজন পুলিশ ফোন দিল।
রাষ্ট্রীয় কাউন্সেল (পিপি) ফরিদুল আলম আদালতে গণমাধ্যমকে বলেন, তার মোবাইল ফোনে কথা বলার ছবিটি মঙ্গলবারের নয়। তবে সাক্ষ্য প্রথম দিন (সোমবার) হতে পারে। এই পদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি কী করবেন তা এই মুহূর্তে অজানা। প্রদীপ ফোনে কার সাথে কথা বলেছিল তা খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ।