কানে স্বর্ণের দুল নিয়ে বের হয়েছিল পপি, পরে প্রতিবেশীর খাটের নিছে পাওয়া গেলো তার লাশ!
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পপি সাহা নামের একটি ৬ বছর বয়সী মেয়ে সোনার কানের দুল নিয়ে বেরিয়ে আসে। খোঁজাখুঁজির পর প্রতিবেশীর বিছানার নিচে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী এমরান হোসেন ও রুমা আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আটকরা হলেন স্বামী -স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় বামনী ইউনিয়নের সাগরদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নির্মল সাহার মেয়ে এবং সাগরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
নিহতের স্বজন এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইমরান ও রুমা আক্তার স্থানীয় নেফাল সাহার বাড়ির কাছে আবুল কাশেমের ভাড়া বাসায় থাকতেন। বেবি পপি প্রায় সেই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। যথারীতি, পপি আজ সকাল ১১ টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে স্বজনরা দম্পতির বাড়ির বিছানার নিচে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় স্থানীয়রা ওই দম্পতিকে আটক করে।
স্থানীয়দের মতে, এমরান ও তার স্ত্রী স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাই তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
মৃত শিশুর মা ববিতা রানী সাহা জানান, পপির কানে তিনটি সোনার কানের দুল ছিল। যখন তিনি সকালে এটি খুলতে যান, তখন তিনি তার কানে ব্যথা পান এবং তারপর তিনি বাড়ি ফেরেননি।
এদিকে রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।