কাসেম সোলাইমানির বাগদাদ সফর নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী !!
কাতার থেকে টার্গেট করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির বাগদাদ সফর নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদি।মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনের আলোচনায় বার্তা বিনিময়ের দূত হিসেবে কাজ করছিলেন জেনারেল সোলাইমানি।গতকাল রোববার দেশটির সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে এসব তথ্য দেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী।
সংসদ অধিবেশনে আদিল আব্দুল মাহদি বলেন, ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি বাগদাদের আমন্ত্রণে ইরাক সফরে এসেছিলেন। শুক্রবারই সকাল সাড়ে ৮টায় তার সঙ্গে আমার একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বাগদাদ বিমানবন্দরের অদূরে তিনি মার্কিন হামলায় নিহত হন।
আদিল আব্দুল মাহদি স্পষ্ট করেই বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনে সৌদি আরব এর আগে ইরাকের মাধ্যমে ইরানকে বার্তা দিয়েছিল। তার পাল্টা জবাব নিয়ে জেনারেল সোলাইমানি বাগদাদ সফরে এসেছিলেন।
কিন্তু জেনারেল সোলাইমানিকে হ’ত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নেয়া তার বড় ধরনের হামলা চালানোর পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, জেনারেল সোলাইমানি একটি বড় ধরনের হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিলেন এবং তাকে হ’ত্যা করার মাধ্যমে সে হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।
কিন্তু সংসদ অধিবেশনে ইরাক প্রধানমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী জেনারেল সোলাইমানিকে হ’ত্যা করার পেছনে আমেরিকার দাবি মিথ্যা প্রমাণ করেছে।ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদির এমন সব দাবির বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখন পর্যন্ত বক্তব্য আসেনি।
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিমান হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে হ’ত্যা করে মার্কিন সেনারা। ওই হামলায় কাসেম সোলায়মানির সঙ্গে ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবির উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ ১০ জন নিহত হন। এদিকে কুদসপ্রধান সোলাইমানিকে হ’ত্যা করার কথা স্বীকার করে ইশ্বর তার পাশে আছেন বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ হ’ত্যাকাণ্ডের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে উঠেছে।