কেমিক্যালে পাকানো ৪০ টন আম জব্দ, ৬ মাসের কা’রাদ’ণ্ড !!
বাইরে থেকে তাকিয়ে লোভাতুর রঙয়ের আম দেখে যেকোনো ক্রেতাই কিনতে চাইবেন। কিন্তু আমগুলো আসলে অপরিপক্ব। রাসায়নিকে কাঁচা আম পাকানো হয়েছে।আমের ভরা মৌসুম শুরুর আগেই অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় রাসায়নিক দিয়ে আম পাকিয়ে তা বিক্রি শুরু করেছে। সাথে মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুরও।
রোববার রাসায়নিকে পাকানো আম বিক্রি ও মেয়াদোত্তীর্ণ পচা খেজুর প্যাকেটজাত করে বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর বাদামতলীতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা অভিযানে বাদামতলীর ১২টি আড়ত থেকে মোট ৪০ টন রাসায়নিকে পাকানো আম ও মেয়াদোত্তীর্ণ চার টন খেজুর জব্দ এবং ৪১ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং চারটি আড়ত সিলগালা করার নির্দেশও দেয়া হয়।
র্যাব-১০ এর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, যে আমগুলো বিক্রি করা হচ্ছিল সেগুলো বাজারে আসতে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় অপরিপক্ব আম কেমিকেলে পাকিয়ে বিক্রি করছে। বাইরে হলুদ টসটসে কিন্তু ভেতরে একদম অপরিপক্ব এসব রাসায়নিকে পাকানো আম। যা খেলে মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করবে।
সারওয়ার আলম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় বাদামতলীতে পরিচালিত এ অভিযানে ১২টি আড়ত থেকে ৪০ টন আম এবং চার টন খেজুর জব্দ করা হয়। পাশাপাশি দায় স্বীকার করায় ৪১ লাখ টাকা জরিমানা এবং তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং চার আড়ত সিলগালার নির্দেশ দেয় আদালত।
সূত্র- জাগো নিউজ