কোরআনে রয়েছে মৌমাছির বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক তথ্য !!
পবিত্র কোরআন একটি বিস্বয়কর গ্রন্থ। এতে এমন কিছু ব্যপার উল্লেখ করা আছে যা আধুনিক বিশ্বকে অবাক না করে পারে না ।
পবিত্র কোরআনের একটি অসাধারন সুরা যার নাম সুরা নাহল। এটি কোরআনের ১৬ নং সুরা , এতে আয়াত সংখ্যা ১২৮ টি এবং নাহল শব্দটির অর্থ– মৌমাছি (BEE) ।
মৌমাছি (BEE) সম্পর্কে প্রথমে কিছু তথ্য দেই — মৌচাকে তিন ধরনের মৌমাছি থাকে– রানী, কর্মী ও স্ত্রী মৌমাছি।
পুরুষ মৌমাছির ক্রোমোসোম(CHROMOSOME) সংখ্যা ১৬! স্ত্রী মৌমাছির CHROMOSOME সংখ্যা ৩২ মৌমাছি ফুল ও ফল থেকে মধু সংগ্রহ করে এবং মৌচাকে জমিয়ে রাখে, এই নিরাময়ের উপকরন।
এই সুরাটিতে আল্লাহ মৌমাছিদের কথা উল্লেখ করে বলছেন।
আপনার পালনকর্তা মধু মক্ষিকাকে আদেশ দিলেনঃ পর্বতগাহ্রে, বৃক্ষ এবং উঁচু চালে গৃহ তৈরী কর, [সুরা নাহল: ৬৮]
এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে। [সুরা নাহল: ৬৯]
এখন দেখা যাক কি কি বিস্বয়কর ব্যপার সুরাটিতে আছে–
ক/. এই সূরাটির অবস্থান কোরআনের ১৬ নাম্বার স্থানে।আর বিজ্ঞান জানিয়েছে, পুরুষ মৌমাছির ক্রোমোসোম(CHROMOSOME) সংখ্যা ১৬।
খ/ আবার সুরাটিতে আয়াত আছে ১২৮ টা। যা ১৬ এবং৩২ এ দুটি সংখ্যা দ্বারাই বিভাজ্য। ১২৮/ ১৬ = ৮, ১২৮/ ৩২= ৪
গ/ সুরা নহলের শেষ আয়াতটিতে আছে ৩২ টি অক্ষর যা স্ত্রী মৌমাছির CHROMOSOME সংখ্যার সমান।
ঘ/ সুরা নাহলের ৬৮ নং আয়াতে সর্বপ্রথম “নাহল” বা মৌমাছি শব্দটি এসেছে, আর খুবই আস্চর্যজনক ভাবে এই সুরার ১ নং আয়াত থেকে শুরু করে ৬৮ নং আয়াত পর্যন্ত “আল্লাহ” নামটি ৩২ বার
এসেছে যা স্ত্রী মৌমাছির CHROMOSOME সংখ্যার সমান।
“আল্লাহ” নামটি এসেছে ১ থেকে ৬৮ নং আয়াত পর্যন্ত —
১, ৯, ১৮, ১৮, ১৯, ২০, ২৩, ২৬, ২৮, ৩১, ৩৩, ৩৫, ৩৬, ৩৬, ৩৮(দুই বার), ৪১, ৪৫, ৪৮( দুই বার), ৪৯, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৬, ৫৭, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৫ নং আয়াতে মোট ৩২ বার (কেউ
চাইলে কোরআনের সাথে মিলাতে পারেন) অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে এই সুরায় মৌমাছির CHROMOSOME সংখ্যার প্রতি আল্লাহ ইংগিত করছেন। সত্যিই অবিস্বাস্য!!!কি অস্বাভাবিক গানিতীক অবস্থান এই কোরআন মেনে চলে!!!
আরো অবিস্বাস্য যে ক্রোমোজোম সম্পর্কে মানুষ জেনেছে মাত্র ১৪০ বছর আগে। স্টার্চবার্গার ১৮৭৫ সালে ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন। যার কথা কিনা বলা আছে ১৪৫০ বছর আগের গ্রন্থে!!!
(সুবহানআল্লাহ) এত তথ্য প্রমান থাকার পরও কেউ যদি বলেন কোরআন মানুষের রচিত গ্রন্থ , তাহলে আর বলার কিছুই নাই।