ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে যাচ্ছিলো সুপারস্টার লিওনেল মেসির!
শুক্রবার সকালে কোপা আমেরিকা জেতার পর প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেন আর্জেন্টিনার সুপারস্টার লিওনেল মেসি। কিন্তু বিপজ্জনক ট্যাকলের কারণে এই ম্যাচটি হতে পারে মেসির ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। তিনি অল্প সময়ের জন্য একটি বড় আঘাত থেকে বেঁচে গেছেন।
ম্যাচে ভেনিজুয়েলাকে ৩-১ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে তিনটি গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ, জোয়াকুইন কোরিয়া এবং অ্যাঞ্জেল কোরিয়া। যাইহোক, আলবিসেলেস্তে স্কোর খোলার আগে, ভেনিজুয়েলা দশজন পুরুষের মধ্যে নেমে আসে।
ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের ২ তম মিনিটে। মেসি সতীর্থদের নিয়ে সু-সাজানো আক্রমণে ডি-বক্সে োকার কথা ছিল। তিনি রদ্রিগো ডি পলের দিকে বল ট্যাপ করলেন। যাইহোক, ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার আদ্রিয়ান মার্টিনেজ তার দিকে ছুটে এসে তাকে হাঁটুতে লাথি মারে।
মাত্র চার মিনিট আগে, আরেক ডিফেন্ডার, জোসেফ ভেলাস্কুয়েজ, অ্যাড্রিয়ান মার্টিনেজের স্থলাভিষিক্ত হন। কিন্তু ৪ মিনিটেই তিনি ম্যাচের সবচেয়ে বাজে ঘটনার জন্ম দেন। অ্যাড্রিয়ানকে লাথি মারার পর, মেসির পা অনেকটা বেঁকে যায় এবং সে মাটিতে গড়িয়ে পড়তে থাকে।
আর্জেন্টিনার মেডিকেল টিম ডাগআউট থেকে ছুটে এসেছিল। মেসির প্রাথমিক চিকিৎসা কিছুদিন স্থায়ী হয়। কয়েক মিনিট পর পায়ে উঠে পড়েন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। কিন্তু যেখানে অ্যাড্রিয়ানের কিক অবতরণ করেছিল, একটি অনুরূপ ট্যাকল অনেক খেলোয়াড়দের তাদের ক্যারিয়ারের জন্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছিল।
এই বিপজ্জনক মোকাবেলায় রেফারি প্রথমে ফাউল হুইসেল বাজায়। যাইহোক, ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। ভিএআর রিপ্লেতে দেখা গেছে, ডি-বক্সের ঠিক বাইরে মার্টিনেজের ফাউল ছিল বেশ ভয়াবহ। তাই মার্টিনেজকে লাল কার্ড দেখানো হয় এবং স্বাগতিকদের সংখ্যা দশে নামিয়ে আনা হয়।
ম্যাচের সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাড্রিয়ানের ফাউলের কঠোর সমালোচনা শুরু হয়। মেসির ভক্তরা সেই ফাউলের ছবি ও ভিডিও আপলোড করে ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডারের প্রতি ক্ষুব্ধ। যাইহোক, সবাই স্বস্তির নি শ্বাস ফেলল কারণ মেসি বড় কিছু ছিল না।