ক্লাসের মাঝে পর্দা দিয়ে শুরু হলো আফগান শিক্ষার্থীদের ক্লাস
গত সোমবার থেকে আফগানিস্তানে খুলা হয়েছে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। একই ক্লাস রুমে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীরা বসলেও ক্লাস রুমের ঠিক মাঝখানে পর্দা দিয়ে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। পর্দার এক পাশে ছেলে ও অপর পাশে মেয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন।
পর্দা দিয়ে ভাগ করা ক্লাসরুমের ছবিটি তালেবান সরকারের ইংরেজি ভাষার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট, তালিব টাইমস এবং স্থানীয় নিউজ চ্যানেলগুলো টুইটারে পোস্ট করেছেন। সেই সকল ছবি গুলোতে দেখা যাচ্ছে ক্লাসরুমে পুরুষ এবং নারী শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদাভাবে বসে লেকচার শুনছেন। একই রুমে থেকেও ছেলে মেয়েরা পৃথক রয়েছেন পর্দার মাধ্যমে, যেন পুরুষ ও নারী শিক্ষার্থীরা পরস্পর পরস্পরকে দেখতে না পায়।
এর আগে তালেবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় জানিয়েছিল, নির্দেশনায় নারী শিক্ষার্থীদের মুখ ঢাকা নেকাব পরে ক্লাসে আসতে হবে জানানো হয়। পুরুষদের সঙ্গে একই ক্লাসে নারীরা বসতে পারবে না। আর নারীদে’র যদি একান্তই পুরুষদের সঙ্গে ক্লাস করতে হয় তাহলে ক্লাসরুমে’র মাঝামাঝি পর্দা দিয়ে ভাগ করে দিতে হবে। নির্দেশনায় আরো জানানো হয়, নারী শিক্ষার্থী’দের ক্লাস অবশ্যই নারী শিক্ষকরা নেবেন। তবে নারী শিক্ষক না থাকলে সচ্চরিত্রের বয়স্ক পুরুষ শিক্ষকরা’ও পড়াতে পারেন।
এমনকি নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থী’দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা ও বের হওয়ার পথও আলাদা হতে হবে ওই নির্দেশনায় জানানো হয়েছে। আফগানিস্তানের নারী’রা শুধু হিজাব পরে মুখ খোলা রেখেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে অংশ নিতে পারবে বলে এর আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে তালেবান।