ক্ষুব্ধ চীনের কড়া হুঁশিয়ারি ভারতকে – সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে !!
সীমান্ত বিবাদের জেরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিমধ্যেই তলানিতে ঠেকেছে। সেই আবহেই সম্প্রতি ভারত এবং রাশিয়াকে জি৭ বৈঠকে যোগ দেওয়ার তৎপরতা শুরু করেছে আমেরিকা। রাশিয়া এ বিষয়ে চুপ থাকলেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে ডোনাল্ড ট্রাম্প
এ প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। তাতেই যারপরনাই ক্ষুব্ধ চীন। চীন এদিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, আমেরিকার সমর্থন নিয়ে ভারত যদি জি-৭ বৈঠকে অংশ নেয় তবে সেটা আগুন নিয়ে খেলার সমান হবে। এর জেরে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে ভারতকে, সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে! খবর এবিপির।
চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশগুলোকে জি৭ বৈঠকের শামিল করে ট্রাম্প চাইছেন এটিকে জি১০ অথবা জি ১১ তৈরি করতে। চীনের দাবি, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আসলে চীনকে সমস্ত দিক থেকে দাবিয়ে রাখার প্রচেষ্টা। চীনের সংবাদ মাধ্যমে আরও জানানো হয়েছে, ভারতে বর্তমান সরকার ক্ষমতালোভী।
ট্রাম্পের এই চাল তাদের নজরে আসছে না। ভারত -চীন সীমান্ত দ্বন্দ্বে নিজেকে শক্তিশালী প্রমাণ করতে আমেরিকার সাহায্য নিয়ে জি৭ বৈঠকে যোগ দিতে চাইছে ভারত। পাশাপাশি অভিযোগ, ভারতের চীন বিরোধী নানা সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভারত সরকার সেগুলো আটকাতে ব্যর্থ। এশিয়ার মধ্যে চীন যেভাবে নিজেদের শক্তি ধীরে ধীরে বাড়াতে শুরু করেছে, তাতেই তার শত্রুর সংখ্যা বাড়ছে জি৭কে বাড়ানো চীনের শক্তিকে আটকানোর একটা পরিকল্পনা।
এর পাশাপাশি ভারত-চীন সীমান্ত দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বারবার বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার সত্ত্বেও ভারত চীনকে শত্রু হিসেবেই মনে করছে। এরপরই ভারতকে সতর্ক করে চীনের দাবি, চীনকে বন্ধু হিসেবে মানলেই ভারতের ভালো, অন্যথায় শত্রু হলে তা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। প্রসঙ্গত, গত রবিবার ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে চীনে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এবং আমেরিকার ঠান্ডা লড়াই এর থেকে ভারতের দূরে থাকাটাই মঙ্গল জনক। অন্যথায় দুই দেশের মাঝখানে ঢুকলে তা ভারতের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে।